চাঁদপুরে প্রতারনার বিয়ে ॥ প্রবাসী প্রেমিকের স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চায় সোনিয়া


চাঁদপুরে প্রতারনার মাধ্যমে প্রেমিক শেখ মো: মাহবুবুল আলম প্রেমিকা সোনিয়াকে ঢাকায় নিয়ে বিয়ে করে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখন প্রবাসী প্রেমিক মাহবুবুল আলমের স্ত্রী হিসেবে স্বাীকৃতি পেতে প্রেমিকা সোনিয়া আক্তার গত ২দিন যাবত সদর উপজেলার পশ্চিম সেকদি গ্রামের শেখ বাড়িতে বিবাহিতা স্বামীকে না পেয়ে অনশন চালিয়ে যাচেছ। এ ঘটনার প্রমান হিসেবে সোনিয়ার সাথে প্রবাসী প্রেমিক শেখ মো: মাহবুবুল আলমের অন্তরঙ্গ মুহুতের কয়েকটি ছবিতে প্রমান মিলে তাদের বিয়ে ও সংসার করার হয়েছে বলে প্রতিয়ন মান হয়। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর চাঁদপুর মডেল থানায় নারী ও নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করলেও মামলার প্রধান আসামি স্বামী প্রবাসী মাহাবুব রহমানকে এখনো পুলিশ তার সন্ধান করতে পারেনি।
এদিকে সোনিয়া তার স্বামীর অধিকার পেতে ও বিয়েটি প্রতিষ্ঠা করতে প্রবাসী প্রেমিক শেখ মো: মাহবুবুল আলমের শেখ বাড়িতে গতকাল শনিবার অনশন শুরু করলে মাহবুবুল আলমের পরিবার সোনিয়ার উপর ব্যাপক নির্যাতন চালায় এবং মারধর করে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ খবর চাঁদপুর মডেল থানায় আসার পর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাছিম উদ্দিনের নির্দ্দেশে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ বড়ুয়া প্রেমিকা সোনিয়াকে উদ্বার করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনার বিবরন সম্পর্কে অনশনরত সোনিয়া বলেন, গতএক বছর ধরে স্থানীয় সহিদ উল্যাহর ছেলে শেখ মাহাবুব আলমের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে প্রবাস থেকে দেশে এসে বিভিন্ন সময়ে সোনিয়াকে নিয়ে নানা স্থানে ঘুরতে যায় এবং বিভিন্ন স্থানে নিয়ে রাত্রি যাপন করে মাহাবুব আলম। বিয়ের প্রলোভনে দিয়ে কক্সবাজার হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্কেও জড়াতে বাধ্য করে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে ঢাকায় এনে দুবাই প্রবাসী শেখ ম্হাবুবুব গোপনে ঢাকায় একটি কাজীর মাধ্যমে ১২ লক্ষ টাকা দেনমোহরে প্রতারনা মূলক বিয়ে করে। পরে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে রেখে সংসার করে। বিয়ের কিছুদিন পরে সোনিয়াকে ঢাকায় হোটেলে রেখে প্রতারনা করে ফেলে রেখে চলে যায়।
এ ব্যাপারে বাগাদী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়াডের মনির মেম্বার জানান, মেয়েটি খুব অসহায় তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রথমে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ে করলেও প্রবাসী শেখ মাহবুব আলম তাকে স্বামীর স্বীকৃতি না দিয়ে হোটেলে রেখে চলে যায়। মেয়েটি প্রবাসী শেখ মাহবুব আলমের বাড়িতে যাওয়ার পর তার পরিবারের লোকজন সোনিয়াকে মারধর করে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এনে মেয়েটাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় তার পরিবারের লোকজন তাকে পরিচয় না দেওয়ায় সে এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রবাসী মাহাবুব রহমানের পিতা বাবা সহিদ উল্যাহ সাংবাদিদের জানান, আমার ছেলে বাড়ীতে নেই। কিন্তু এই মেয়েটি এসে আমার বসতঘরে ঢুকার পরে আমি থানায় খবর দেই।
পরে সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ রোববার সন্ধ্যায় এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ নিয়ে যায়।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ বড়ুয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করি। বর্তমানে উভয় পক্ষ চাঁদপুর থানায় আছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ রিপোট লিখা পর্যন্ত অনশনরত সোনিয়া চাঁদপুর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।