• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরের আলেম-ওলামার সাথে মতবিনিময়কালে ধর্ম সচিব মোঃ আনিছুর রহমান

মডেল মসজিদগুলো শুধু ইবাদতের জন্যেই নয়, এখানে ইসলামী রিসার্চ সেন্টার হবে

প্রকাশ:  ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর জেলায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা, সন্ত্রাস, নাশকতা, জঙ্গিবাদ দমন, মানব পাচার, মাদক, বাল্যবিবাহসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে আলেম-ওলামাদের সাথে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনিছুর রহমান মতবিনিময় করেছেন। গতকাল ২৩ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউজে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী সংস্কৃতি চর্চা ও ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে সৌদি সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের মৌখিক চুক্তিনামা হয়। ওই চুক্তিনামা সৌদি সরকার ভঙ্গ করায়  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের টাকায় এ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে ৪৩৭টি মসজিদ বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে। যা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দৃশ্যমান হবে। ওই মডেল মসজিদগুলোতে থাকছে হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক অফিস, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত দারুল আরকাম মাদ্রাসা বিভাগ এবং পুরুষ ও মহিলাদের জন্যে আলাদা নামাজের ব্যবস্থা। এছাড়া আরো থাকছে ইসলামিক সাংস্কৃৃতিক চর্চা কেন্দ্র। অর্থাৎ মডেল মসজিদগুলো শুধু ইবাদতের জন্যই নয়, এখানে ইসলামী রিসার্চ সেন্টার হবে। তিনি আরো বলেন, সারাদেশে মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা প্রকল্প আছে, তেমনি হিন্দুদেরও মন্দির ভিত্তিক গণশিক্ষা  প্রকল্প রয়েছে। এ প্রকল্প ২০১৭ সালের শেষদিকে প্রস্তাবনা হয়। পরে ২০১৮ সালে কার্যক্রম শুরু হয়। মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ১৮২২টি মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, চাঁদপুর জেলায় ৯টি মডেল মসজিদ হবে। তার মধ্যে চারটি ডিসেম্বরের মধ্যে একতলার কাজ সম্পন্ন হবে। চাঁদপুর সদরে শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত চেষ্টায় চাঁদপুর পৌর ঈদগাহর পাশে মডেল মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা আমরা ২০২০ সালের মধ্যে দৃশ্যমান করতে পারবো। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি দেশে গুজব বাতাসের চেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে ফেসবুকে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বিষয়গুলোর গুজবে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। যার মধ্যে পদ্মাসেতু এবং লবণ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়। এসব বিষয়ে ফেসবুকে ভাইরাল নিয়ে মানুষের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে সরকারের গোয়েন্দা শাখা কাজ করছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। মতবিনিময়কালে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মোঃ আবদুর রহমান গাজী, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক অমিত সরকার, মাওঃ আবু বকর বিন ফারুক।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত করেন চাঁদপুর আহমদিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোস্তাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ শওকত ওসমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম জাকারিয়া, চাঁদপুর জেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওঃ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মাওঃ আব্দুস সালাম, বিষ্ণুদী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মসজিদে গোর-এ গরিবার খতিব মাওঃ আব্দুর রশিদ তালুকদার, চাঁদপুর সরকারি বিশ^বিদ্যালয় কলেজ মসজিদের খতিব হাফেজ মাওঃ নিজামুল হক, কিতাব উদ্দিন জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মোঃ তাজুল ইসলামসহ  বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবগণ।