• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে লবণ

প্রকাশ:  ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর জেলার সর্বত্রই আগের দামে বিক্রি হচ্ছে লবণ। গতকাল বুধবার লবণের প্রধান পাইকারি বাজার পুরাণবাজারে গিয়ে এমন তথ্য জানা যায়। তবে লবণ বিক্রি অনেক বেড়েছে বলে জানান পাইকারি লবণ ব্যবসায়ীরা। আর ক্রেতারা বলেন, গুজবের সুযোগে নির্ধারিত দামের চেয়ে প্যাকেটে ৫/১০ টাকা বাড়তি নিচ্ছে পাইকারি লবণ ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে লবণের দাম বাড়ার গুজবে চাঁদপুর শহর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে শুরু হয় সব ধরনের ক্রেতাদের লবণ কেনার হিড়িক। বুধবারও পুরাণবাজারে প্রচুর লবণ পাইকারিভাবে বিক্রি হতে দেখা যায়।
রিকশা, অটোবাইক, সিএনজি স্কুটার, পিকআপে করে যে যতো পেরেছে বাজার থেকে লবণ ক্রয় করে নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। যার মাসে দুই-তিন কেজি লবণ দরকার সে নিয়েছে ২৫টি ১ কেজির প্যাকেট। পেঁয়াজের মতো লবণের কেজি ৮০ থেকে ১৫০ টাকা দাম বাড়বে এমন খবর পেয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে দোকানে দোকানে লবণ কিনতে ভিড় করেন।
গুজব ছড়িয়ে পড়লে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন হাট-বাজারে লবণ বেশি দামে বিক্রি শুরু করে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। লবণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন খবরে সাধারণ মানুষ মুদি দোকানগুলোতে লবণ ক্রয়ের জন্যে ভিড় জমায়। সে আতঙ্কের রেশ গতকাল বুধবারও ছিলো স্থানীয় পাইকারি বাজারে এবং লবণ মিলে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাস্তবে লবণের দাম কোনো বাড়েনি। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশে চাহিদার কয়েকগুণ বেশি মজুদ রয়েছে।
পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কঠোর নজরদারি এবং হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় জনতা লবণ মিল মালিক আবুল কালাম আজাদ জানান, চাঁদপুরে লবণের কোনো সঙ্কট নেই। দাম বাড়ার প্রশ্নেই আসে না। ৭৪ কেজির বস্তা মোটা লবণ ৭০০ টাকা ও আয়োডিন প্যাকেট লবণের ব্যান্ডেল তারা ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
অপরদিকে বাজারের লবণ পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, এসিআই, মোল্লা চিকন ও পূবালী মোটা প্যাকেট লবণ নির্ধারিত মূল্যেই তারা বিক্রি করছেন।