• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সমগ্র বাংলাদেশে সর্বাধিক ১৫ বার ট্যাক্স কার্ড সম্মাননা প্রাপ্তির বিরল রেকর্ড

এবারও দেশসেরা করদাতার ১ম স্থান পেলেন হাজী মোঃ কাউছ মিয়া

প্রকাশ:  ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরের কৃতী সন্তান, প্রবীণ ব্যবসায়ী, প্রখ্যাত সমাজসেবক ও দানশীল হাজী মোঃ কাউছ মিয়া এবারও দেশসেরা করদাতার ১ম স্থান অর্জন করে গ্রহণ করেছেন ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা।
২০১৮-২০১৯ কর বছরে সমগ্র বাংলাদেশে ব্যবসায়ী ক্যাটাগরীতে তিনি সর্বোচ্চ করদাতার ১ম স্থান লাভ করে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছেন। এ নিয়ে কাউছ মিয়া সারা বাংলাদেশে টানা ৮ম বার প্রথমস্থান এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ৭ বার সেরা করদাতার স্বীকৃতি পেয়েছেন। সর্বমোট ১৫ বার সর্বাধিক দেশসেরা করদাতার বিরল রেকর্ড গড়লেন তিনি। এ ছাড়াও ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে হাজী মোঃ কাউছ মিয়া ঢাকা জেলার কর বাহাদুর পরিবারের স্বীকৃতি পান।
১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে ব্যবসায়িক সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৯ সালের ১ম স্থান অর্জনের ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এফসিএ, এমপি।
দেশের উন্নয়নে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মোঃ কাউছ মিয়া ধারাবাহিকভাবে যে অবদান রাখছেন তার জন্যে কৃতজ্ঞতা জানাতে কাউছ মিয়াকে রাষ্ট্রের পক্ষে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হয় এ অনুষ্ঠানে। তাকে অতিথি সারি থেকে উঠিয়ে এনে উপস্থিত সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান। এ সময় তাঁকে অতিথি মঞ্চে অর্থমন্ত্রীর পাশে বসিয়ে বিশেষ সম্মান জানানো হয়।
এ সময় কাউছ মিয়া তাঁর ব্যবসার সফলতা এবং সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারীর অনুভূতি প্রকাশ করে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমপি। সভাপতিত্ব করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ^র গ্রামে (ব্রিটিশ আমলের ত্রিপুরা) জন্ম নেয়া ৮৯ বছর বয়সী কাউছ মিয়া জানান, তাঁর বাবার নাম আব্বাছ আলী মিয়া ও মাতা মোসাম্মৎ ফাতেমা খাতুন। তার নানা মৌলভী আব্দুস সালাম ছিলেন তৎকালীন জমিদার। ১৯৫০ সালে মায়ের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকার পুঁজিতে প্রথমে তিনি দেশের প্রসিদ্ধ বাণিজ্যিক এলাকা চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে ব্যবসা শুরু করেন। এখানে তার ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো। পাশাপাশি ১৮টি প্রতিষ্ঠানের সোল এজেন্ট ছিলেন। এছাড়াও তাঁর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
৬৯বছর যাবৎ এককভাবে তিনি ব্যবসা করে আসছেন। এখনো প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
১৯৫৮ সাল হতে তিনি সরকারকে কর দিয়ে আসছেন। স্বাধীনতার আগেও তিনি পাকিস্তান অব সেন্ট্রাল গর্ভমেন্ট কর্তৃক সর্বোচ্চ করদাতার ১ম স্থান পেয়ে সার্টিফিকেট লাভ করেন।
কাউছ মিয়া জানান, সৎভাবে ব্যবসা করে শীর্ষ করদাতা হওয়া সম্ভব। কর দেয়া যে গৌরবের, সেটা তিনি প্রমাণও করেছেন।