• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

এবার এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না গৃদকালিন্দিয়া উবির ছাত্র সজিব

প্রকাশ:  ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১০:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণ করতে পারেনি মেধাবী ছাত্র সজিব হোসেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজিবের শিক্ষাজীবন এখন বিনষ্ট হওয়ার পথে। যথাসময় রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অন্যদের সাথে সে ফরম পূরণ করতে পারছে না। এ শিক্ষার্থীর পরিবার এর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে। স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছে বলে জানান।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম বড়ালি গ্রামের প্রবাসী মোবারক হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন ২০১৭ সালে গৃদকালিন্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। ২০১৮ সালে সে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও বিশেষ কারণে অকৃতকার্য হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে ডিটেনশন করে। পরবর্তীতে সে ২০১৯ সালের নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরণ করতে গেলে দেখতে পায় নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নের সময় তার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়নি। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার স্বপ্ন।
বিষয়টি নজরে আসলে গত ১৩ নভেম্বর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর রেজিস্ট্রেশন করার অনুমতি প্রদান করার আবেদন করলেও অদ্যবধি সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সজিব হোসেনের মা পারুল বেগম জানান, ২০১৮ সালে সজিব নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্যের বিষয় মেনে নিয়ে তাকে পরের বছরের জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহস দিয়েছি। সেই অনুযায়ী সজিব ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী পরীক্ষায় ভালভাবে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ অবহেলা করে তার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন না করায় তার শিক্ষাজীবন বন্ধ হওয়ার পথে। যেভাবেই হোক আমি আমার সন্তানের শিক্ষাজীবন নিশ্চিতের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সজিবের রেজিস্ট্রেশন চলার সময় তিনি বিদ্যালয়ের যোগদান করেন নি, তবে রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার জন্যে শ্রেণি শিক্ষকের সাথে স্কুলের দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ দায়ী বলে তিনি স্বীকার করেন। ঘটনা জানার পর তিনি বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।