মতলবে অগ্নিদগ্ধ স্কুলছাত্রীর মৃত্যু


মতলব পৌর শহরের ভাঙ্গারপাড় এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত বৈশাখী (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রী ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছে।
পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, ভাঙ্গারপাড় এলাকার প্রধানীয়া বাড়ির জাহাঙ্গীর প্রধানের মেয়ে ও মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বৈশাখী গত ৩০ অক্টোবর বাড়ির রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়। ওই সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে তার শরীরের প্রায় ৮৫ ভাগ পুড়ে যায়। তাকে প্রথমে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে।
নিহতের মা শেফালী বেগম জানান, শেফালীর বাবা দুই বছর পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছে। আমি বিভিন্নভাবে কাজ করে সংসার চালাচ্ছি। আমার এ মেয়েটা লেখাপড়ায় ভালো ছিল। আশা ছিল ও লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করে আমাদের একটু দেখবে। এছাড়া ছোট ভাই-বোনদের লেখাপড়ায় সহযোগিতা করবে।
নিহত বৈশাখীর চাচা মোঃ শরীফ প্রধান বলেন, ঘটনার সময় তার মা বাড়িতে ছিল না। বাবাতো দুই বছর যাবৎ পঙ্গু হয়ে বিছানায় আছে। বাড়ির লোকজন বৈশাখীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছিল। মায়ের অনুপস্থিতিতে পরিবারের কাজ করতে গিয়েই মেয়েটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল। ৩ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে বৈশাখী সবার বড়।
বৈশাখীর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির হোসেন বলেন, মেয়েটি লেখাপড়ায় ভালোই ছিল। আমরা তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতাম। এখন পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতার বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার ৫টার দিকে নিহতের লাশ বাড়িতে পৌঁছে। রাতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।