• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম শেষে প্রথম দিনেই চাঁদপুর মাছঘাটে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মণ ইলিশের আমদানি

প্রকাশ:  ০১ নভেম্বর ২০১৯, ১২:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ইলিশের প্রধান প্রজনন মওসুম রক্ষায় বাইশ দিনের মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম শেষে প্রথম দিন গতকাল ৩১ অক্টোবর চাঁদপুর মাছঘাটে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মণ ইলিশের আমদানি হয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁর মতে, আশিভাগ মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পেরেছে। অভিযান অনেকটাই সফল হয়েছে।
এদিকে সরজমিনে মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায় পুরো ঘাট জুড়ে ইলিশ আর ইলিশ। তবে এসব ইলিশের সবই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় আহরিত। যার সিংহভাগই পরিপক্ক ইলিশ এবং যাদের পেটে ডিম রয়েছে, ছাড়তে পারেনি। জেলেরা সে সব ইলিশ ধরেছে।
স্থানীয় ইলিশ ব্যবসায়ীরা জানান, একসাথে লোকাল নদীর এত পরিমাণ ইলিশ আগে কখনোই দেখা যায়নি। নদীতে মৎস্য নিধন বন্ধ চলাকালে এবং অভিযানের মেয়াদের শেষদিনে একশ্রেণির লোভী জেলে নদীর পাড়ের আড়তদারদের সহযোগিতায় ব্যাপকহারে মা ইলিশ নিধন করায় ইলিশের এমন ছড়াছড়ি। চাঁদপুর মাছঘাটে গতকাল বৃহস্পতিবার আসা ইলিশের অধিকাংশই নিষেধাজ্ঞার সময়ে ধরা।
মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আঃ খালেক মাল, রাজরাজেশ^র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারীর আড়তসহ ইউসুফ বন্দুকশী, শাহজাহান বেপারী, আঃ রব চোকদার, সিরাজ চোকদার (বড়), আবু তাহের গাজী, ইকবাল বেপারী, বাবুল হাজীসহ অনেকের আড়তে গতকাল প্রচুর ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
এক কেজি পরিমাণ ইলিশের মণ পাইকারী বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা।
চাঁদপুরের নদী এলাকায় প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সবদিকের জেলেরা নদীতে বিচরণ করছে। পুরাণবাজারের হরিসভা ঠোঁডা, রণাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর, হরিণা, আখনেরহাট, রাজরাজেশ^র চর, তরপুরচন্ডীর আনন্দবাজারসহ অন্যান্য ঘাটে এবং হাইমচরে ইলিশের হাট বসেছে। চাঁদপুরের জেলেরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত প্রচুর ইলিশ পেয়েছেন বলে জানা যায়।
চাঁদপুরের পথে-ঘাটে, রাস্তায় চলছে ইলিশ বেচাকেনা। এখন দেখার অপেক্ষা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম কতটুকু রক্ষা হয়েছে। আগামীর ইলিশ মৌসুমে উৎপাদনের পরিমাণ দেখলে তা স্পষ্ট হবে।