• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তির অভিযোগ

প্রকাশ:  ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়ায় ভুয়া জন্মসনদ ও ঠিকানা ব্যবহার করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ মর্মে জানা গেছে, মুহাম্মদ সামছুল আলম পিতা মোঃ আব্দুর রহমান, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পদে পরীক্ষার রোল নং-৫২৩২১২১ এবং ইয়াসমিন আক্তার, পিতা-তুতু মিয়া পরীক্ষার রোল নং-৫২২৮৫৩১; কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে ভুয়া জন্মসনদ ও চেয়ারম্যানের সনদ ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভের জন্যে আবেদন করেন। দুই চাকুরি প্রার্থী সামছুল আলম ও ইয়াসমিন আক্তার ১৭ অক্টোবর চাঁদপুরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার অধিবাসী তার নিজ জেলায় বিধি অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে। গতকাল বুধবার সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উল্লেখিত সামছুল আলম ও ইয়াসমিন আক্তার নামে ওই এলাকায় কোনো লোক আছে বলে কেউ বলতে পারে না। গোহট দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়া ও ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান নিশ্চিত করেন সামছুল আলম ও ইয়াসমিন আক্তার তার ওয়ার্ডের খাজুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা নয়। ইউপি সদস্য সফিকুর রহমান আরো জানান, খাজুরিয়া গ্রামের জুমা বাড়ির মসজিদে সুনামগঞ্জ জেলার অধিবাসী সামছুল আলম নামে একজন মুয়াজ্জিন হিসেবে ৪/৫ বছর পূর্বে কর্মরত ছিল। সহকারী শিক্ষক পদে মৌখিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাকযোগে কচুয়া উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামে আসলে বিষয়টি ওই এলাকার মানুষের নজরে আসলে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। খাজুরিয়া গ্রামের ফরিদ আহমেদ বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে আবেদন করে এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদ পরিবেশনের জন্য অবহিত করে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করণের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে আমরা জানাবো।
চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মোঃ শাহবুদ্দিন বলেন, কচুয়া থেকে এ রকম একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া নাম-ঠিকানা প্রমাণিত হলে নিয়োগবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরী প্রার্থী সামছুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সুনামগঞ্জ জেলার অধিবাসী, কচুয়ায় অনেক দিন ছিলাম। সেজন্যে আমি ও আমার স্ত্রী’র বোন কচুয়ার ঠিকানা ব্যবহার করে সহকারী শিক্ষক পদে পরীক্ষা দিয়েছি।
খাজুরিয়া লক্ষ্মীপুর এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসী ভুয়া তথ্য দিয়ে সত্য গোপনকারী সামসুল আলম ও ইয়াসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণের  দাবি জানান।

 

সর্বাধিক পঠিত