• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে কোস্টগার্ডের অত্যাধুনিক জাহাজ 'কুতুবদিয়া'

প্রকাশ:  ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৩৩ | আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১১:০৭
চাঁদপুর প্রতিনিধি।।
প্রিন্ট

প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নিধন রোধে গত ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের প্রজনন এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ করেছে সরকার। এ সময় আইনানুযায়ী সারাদেশে ইলিশ মাছের আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করণ এবং বেচা নিষিদ্ধ রয়েছে। এদিকে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনায় কোস্টগার্ড বাহীনি তৎপর ভূমিকা পালন করে আসছে। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল করার লক্ষে ৯ অক্টোবর থেকে স্টগার্ড বাহীনি একক ও যৌথভাবে বিভিন্ন অভিযানে অংশগ্রহন করেছে। সোমবার দুপুরে চাঁদপুরের মেঘনা নদীনে কোস্টগার্ড বাহীনির জাহাজ কুতুবদিয়াতে প্রেসব্রিফিং’ এ এসব কথা জানান কুতুবদিয়া জাহাজের লে. কমান্ডার বিএন অধিনায়ক এম মানসুরুন মাহদীন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর ৫টি ঘাঁটি, ২৩টি ছোট-বড় জাহাজ এবং ৫৮টি স্থায়ী ও ৪টি অস্থায়ী কন্টিনজেন্ট এর সদস্যগণ শতাধিক কোস্টগার্ড বোট ও ভাড়াকৃত বোটের মাধ্যমে নদীতে সর্বদা টহলে নিয়োজিত রয়েছে। এসকল টহল পরিচালনার মাধ্যমে গত ১২ দিনে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ লক্ষ মিটার কারেন্টজাল ও অন্যান্য অবৈধজাল, ৭০টি ইঞ্জিন চালিত কাঠের বোট ও ২০ হাজার কেজি অবৈধ ভাবে আহরিত মা ইলিশ এবং ৪শ’ ৪ জেলেকে মাছ ধরার অপরাধে আটক করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মূল্য (বাজারজাতমূল্য) প্রায় ৩৮ কোটি টাকা। 

তিনি আরো জানান, অভিযানে অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ কুতুবদিয়া গত ১৭ অক্টোবর চাঁদপুরে আগম করে। চাঁদপুর কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সম্মিলিত ভাবে মা ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় টহল ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন, জলদস্যুতা ও মা ইলিশ সংরক্ষণে কোস্টগার্ড এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

উল্লেখ্য, কুতুবদিয়া জাহাজে প্রেসব্রিফিং-এ উপস্থিত ছিলেন, কুতুবদিয়া জাহাজের লে.বিএন নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম লুৎফর রহমান, চাঁদপুর কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. এম তাজুল হাসিফ, এমসিপিও কন্টিনজেন্ট সদস্য এম ইসহাক আলী, আরওজি কামরুল হাসান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লক্ষন চন্দ্র সূত্রধর, সাবেক সভাপতি শাহ মো. মাকসুদুল আলম, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসসহ প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

সর্বাধিক পঠিত