চাঁদপুর হানারচরে চাউল পেয়ে খুশি জেলেরা


চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে মা ইলিশ রক্ষা মৌসুমে সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে নিয়ম মাফিক জেলেদের মাঝে চাল বিতরন করা হয়েছে। শনিবার (১৯) অক্টোবর সকালে ইউনিয়নের জেলে কার্ড প্রাপ্ত মোট ১৮, শ ১৮ জন জেলের মাঝে ২০ কেজি করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার রাঢ়ীর উপস্থিতিতে এ চাল বিতরন করা হয়। এদিকে ইউনিয়নের যেসব ভূয়া জেলে নামধারী রয়েছে তারা চাল না পাওয়ায় এবং একটি কুচক্রী মহল হানারচর ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরন নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে বদনাম ছড়িয়েছেন।
কিন্তু ২০ অক্টোবর রোববার সরজমিনে ওই ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায় চাল বিতরনে কোন অনিয়মের ঘটনাই ঘটেনি। ওই ইউনিয়নের কার্ডপ্রাপ্ত ৩ নং ওয়ার্ডের জেলে সেলিম বেপারী, বিল্লাল রাঢ়ী, মুনাফ মিজি, আব্দুল বারেক রাঢ়ী, সহ একাদিক জেলে জানান, আমরা সঠিক ভাবেই জেলে কার্ডের চাল পেয়েছি। হয়তো ১ কেজি এদিক, সেদিক হতে পারে। এর বাহিরে চাল বিতরনে কোন অনিয়ম হয়নি। যেসব ভূয়া জেলেরা চাল পায়নি তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বদনাম রটিয়ে চাল বিক্রির মিথ্যে দুর্নাম ছড়াচ্ছে এবং সাংবাদিকদের মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল বারেক তালুকদার জানান, আমার ওয়ার্ডে ১৭৫ জন জেলে রয়েছে। আমি প্রত্যেক জেলেকে আমার উপস্থিতিতে ২০ কেজি করে চাল দিয়েছি। চাল বিতরনে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি।
৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হালিম বেপারি জানান, আমার ওয়ার্ডেও ২৪৭ জন জেলে রয়েছে। আমি নিজে উপস্থিত থেকে প্রত্যেককে ২০ কেজি করে চাল পাইয়ে দিয়েছি। চাল বিতরণে কোন প্রকার অনিয়ম দেখেনি। কেউ কেউ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল বিক্রির মিথ্যা বদনাম ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে হানারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার রাঢ়ী বলেন, আমার ইউনিয়নে সর্বমোট ২৩,শ ৮৭ জন জেলে রয়েছে। এরমধ্যে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে কার্ড প্রাপ্ত জেলে আছে ১৮, শ, ১৮ জন। এদের জন্য সরকার থেকে আমার ইউনিয়নে ৩৬ টন ৩, শ ৬০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে কেউ কেউ এবং একটি কুচক্রী মহল বলছেন, আমি নাকি পুরো চাল বিক্রি করে দিয়েছি। চাল বিতরনের সময় আমার পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১০ জন ইউপি সদস্য, ইউপি সচিব, ট্যাক অফিসার এবং চাঁদপুরের বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেছি। সেখানে তো কোন ভাবেই কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই। একজন জেলেও আমার বিরুদ্ধে চাল বিতরনের কোন অনিয়মের অভিযোগ করেনি।
কুচক্রী মহলটি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যে বদনাম ছড়াচ্ছে। আমি যদি কোন অনিয়ম করে থাকি তাহলে আমার ইউনিয়নের জেলেদের কাছে তদন্ত করলেই আমার দোষ গুনের কথা বেরিয়ে আসবে।