হরিসভায় আবারো নদী ভাঙ্গনে ৫টি বসতঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে


চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় আবার মেঘনার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পুরাণবাজার হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স গেইট এলাকায় হঠাৎ করেই ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গন দেখা দিলে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি বসতঘর সরিয়ে নেয় স্থানীয়রা।
শহর রক্ষাবাঁধের হরিসভা এলাকার প্রায় ৫০মিটার এলাকাজুড়ে ব্লকবাঁধ নদীতে তলিয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে সেখানে থাকা সুভাষ ঋষী, বুলু ঋষী, শ্যামল ও নারায়ণ ঘোষের বসতঘর জুড়ে ভাঙ্গনের ফাটল ধরে। জগদীশ ও রাখাল বণিকের বাড়ির পেছনও ভাঙ্গন শুরু হয়। এ সময় তাদের ঘরগুলো ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ভাঙ্গন আতঙ্কে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন রাতের মধ্যেই তাদের বসতঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা খায়ের মিজি জানান, হরিসভা রাস্তা ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে পৌরসভার এ রাস্তাটি ভেঙ্গে গেলে হরিসভা ও মধ্য শ্রীরামদী এলাকা মেঘনায় বিলীন হয়ে যাবে।
এদিকে ভাঙ্গনের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদের রহমান খান, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপি এম (বার), পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, চাঁদপুর চেম্বর অব কমার্সের সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, তমাল কুমার ঘোষ, প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝিসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে মোতায়েন করা হয়।
নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি তাৎক্ষণিক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অবগত করেন।
ভাঙ্গনে পুরাণবাজার হরিসভা থেকে পশ্চিম শ্রীরামদী রণাগোয়াল পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধের এ এলাকাটি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, প্রায় ৪০ মিটার জায়গা থেকে শহর রক্ষাবাঁধের ব্লক দেবে গেছে। আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাঙ্গন স্থানে ছুটে আসি এবং আমাদের কাছে স্টকে থাকা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ এনে ভাঙ্গন কবলিত স্থানে ফেলা শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, এর আগেও কয়েক দফা ভাঙ্গনের শিকার হয় হরিসভা এলাকা। প্রতিবারই পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ করেছে। আবারও সেখানে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় হরিসভা, মধ্য শ্রীরামদী ও পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকাটি এখন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।