ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তার সাথে ঈশানবালাবাসীর সাক্ষাৎ


হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালাচরে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি ও চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সার্কিট হাউজে সাক্ষাৎ শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী, নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য খলিল মাতাব্বর, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য বাচ্চু সরদার, ঈশানবালা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিএম মুন্নাফ, ঈশানবালা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খোকন সরদার, দাদন বেপারী, লনী মিয়া বেপারী প্রমুখ।
নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে ঈশানবালা চরের অন্ততপক্ষে দুই কিলোমিটার এলাকা মেঘনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীর পানি কমার সাথে সাথে তীব্র ¯্রােত আর ঢেউয়ের কারণে ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। হুমকিতে রয়েছে ঈশানবালা পুলিশ ফাঁড়ি, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, বাজারসহ মানুষের বসতঘর। এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে অচিরেই মানচিত্র থেকে মুছে যাবে পুরো ঈশানবালা চর। আমরা ভাঙ্গনরোধ স্থায়ীভাবে বাঁধ দেওয়ার আহ্বান জানাই। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিকে অবহিত করেছি। সাথে সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছি।
হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারাম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেছেন। অচিরেই নদীভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে আশ^াস দিয়েছেন আমাদের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যা সমাধান করা হবে বলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ঈশানবালাচর নদীভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। আশা করি অচিরেই সেখানে ভাঙ্গনরোধের কাজ শুরু করা হবে।