উপাদী দক্ষিণে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড


মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৬নং উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড পূর্ব ধলাইতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে একটি মুদি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে দোকানঘরসহ নগদ টাকা, মোবাইল কার্ড ও মালামাল পুড়ে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে দমকলবাহিনী পাশের এলাকা পর্যন্ত আসতে পারলেও রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী (পাকাকরণ কাজ চলমান) হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৯ অক্টোবর বুধবার রাত ২টায় (মঙ্গলবার দিবাগত রাত) পূর্ব ধলাইতলী হাজী মার্কেটের রিয়াদ স্টোরে অগ্নিকা-ে সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে পড়ে আছে। রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া সাবেক ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলামসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাক-চিৎকারে অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন সাটার লাগানো। দোকানের ভিতর মালামালগুলো আগুনে পুড়ছে। দোকানের মালিক আব্দুর রহমান মুন্সি খবর পেয়ে এসে দোকানের সাটার খুলতে পারলেও ততক্ষণে সব মালামাল পুড়ে গেছে। আব্দুর রহমান জানান, তিনি বহুবছর একই এলাকার বিল্লাল বেপারী পাকা দোকান ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে মুদি ব্যবসা করে আসছেন। প্রতিদিনের ন্যায় তিনি গত ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। পরে রাতে এমন দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো জানান, পাশর্^বর্তী করবন্দ গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় সরকার বাড়ির জেলেরা জাল নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় উক্ত দোকান আগুনে পুড়ছে দেখে ডাক-চিৎকার দিয়ে কাছেই বসবাস করা ইউছুফকে জানালে ইউছুফ দৌড়ে গিয়ে আমাকে অগ্নিকা-ের খবর জানায়। পরে আমি ডাক-চিৎকার দিয়ে এসে দোকানের পুড়ে যাওয়া দৃশ্য দেখি। এ সময় আশেপাশের লোকজন এসে জড়ো হয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করলেও ততক্ষণে মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এদিকে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানদার আব্দুর রহমান মুন্সি জানান, ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল, নগদ ১০/১২ হাজার টাকা এবং ৫/৬ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল রিচার্জ কার্ড পুড়ে যায়। এছাড়া ভয়াবহ আগুনে একতলা পাকা দোকানঘর যেভাবে পুড়েছে, এতে আগুনের তীব্রতায় আশেপাশের দোকানঘরেরও ক্ষতি হয়েছে। মুদি দোকানঘরের ছাদ ও দেয়াল ফেটেছে এবং আস্তর খসে পড়ছে। এতে দোকানঘরের প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উপস্থিত লোকজন ধারণা করেন।
এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এমনকি ক্রেতাদের বাকিতে নেয়া টাকার হিসেবের খাতাগুলোও পুড়ে গেছে। ক্রেতাদের থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকার মত পাওনা রয়েছেন বলে আব্দুর রহমান জানান। এখন এসব টাকা কিভাবে পাবেন বা কাস্টমার দিবেন কি না এ বিষয়ে চরম সংশয় ও হতাশার মধ্যে রয়েছেন। এদিকে খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার প্রতিনিধি ইউপি সদস্য সোহেল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সান্ত¡না দেন।