• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে মিথ্যা মামলায় জড়িত আট শিক্ষার্থীর মায়েদের সংবাদ সম্মেলন

মামলার ভয়ে বিপন্ন ওদের শিক্ষাজীবন

মায়ের সাথে দোকান কর্মচারীর অশ্লীল আচরণের প্রতিবাদ করাই যাদের অপরাধ!

প্রকাশ:  ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর কর্মচারী কর্তৃক মায়ের সাথে অশ্লীল আচরণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আট শিক্ষার্থী মামলায় জর্জরিত। গ্রেফতার আতঙ্কে তাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমনকি চলমান ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে ছবি তুলতে পারেনি চার শিক্ষার্থী। মামলার কারণে কয়েকজনের অনার্সে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে মামলার পেছনে কলকাঠি নাড়ছে রাজনীতির নোংরা খেলা। এসব অভিযোগ করে নিজেদের সন্তানদের অনাগত ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ৮ শিক্ষার্থীর মায়েরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছবি ও বয়স প্রমাণের কাগজপত্র প্রদর্শন করেন তারা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিপুল সংখ্যক স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মায়েরা জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২নং চরদুঃখিয়া বিরামপুরবাজারের ব্যবসায়ী তোফায়েল বেপারীর দোকানের কর্মচারী আব্বাছ হাওলাদার (শ্যালক) কেনা-কাটা করতে আসা মহিলা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের সাথে প্রায়শই অশ্লীল আচরণ করে। এই ধরনের আচরণের শিকার হন বিরামপুুর এলাকার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী রোশনারা বেগম ও টিটু বেপারীর স্ত্রী নাছরিন আক্তার। বিষয়টি জানতে পেরে গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার তাদের সন্তান নাঈম ও রিয়াজ তাদের ক’জন বন্ধুসহ ওই দোকানির সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে তাদের সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে কর্মচারী আব্বাছ তার সহযোগীদের নিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করে আটকে রাখে। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় নেছার আহম্মেদের ছেলে সালাউদ্দিন মিঠু ওই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
পরবর্তীতে দোকানের মালিক তোফায়েল বেপারী তার দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ফরিদগঞ্জ থানায় গত ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়–য়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেছার আহাম্মেদের ছেলে সালাউদ্দিন মিঠু (২৪), আঃ মান্নানের ছেলে নাঈম বেপারী (১৯), হোসেন বেপারীর ছেলে রাকিব (১৯), টিটু বেপারীর ছেলে রিয়াজ (১৭), মনির গাজীর ছেলে মাসুম গাজী (১৮), খোকন বেপারীর ছেলে পবন (১৭), আনিছ গাজীর ছেলে আফসার হোসেন (১৬) ও শরীফ গাজীর ছেলে জাফর (১৭)। অথচ মামলায় পরিকল্পিতভাবেই তাদের প্রত্যেকের বয়স বেশি দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ওই শিক্ষার্থীদের মায়েরা অভিযোগ করেন, মামলার ভয়ে পালিয়ে থাকায় তাদের চার সন্তান চলমান হালনাগাদ ভোটার তালিকার জন্যে ছবি তুলতে পারেনি এবং বেশ ক’জন অনার্সে ভর্তি হতে পারছে না। তারা অভিযোগ করেন, ওই ব্যবসায়ী ও তাদের লোকজন তাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করছেন। এসব কর্মকা-ে পেছন থেকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে। তাই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনপূর্বক তাদের সন্তানদের বিপন্ন হতে যাওয়া শিক্ষাজীবন ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নেছার আহম্মদ গাজী, শিক্ষার্থীদের মা ও আত্মীয়দের মধ্যে তানজিনা আক্তার, তাহমিনা আক্তার, শিউলী আক্তার, মনির হোসেন, ঝর্ণা আক্তার, ফাতেমা বেগম, হাছিনা বেগম, জেসমিন আক্তার, ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ, আলাউদ্দীন, পেয়ারা বেগম, জান্নাত আক্তার, জেসমিন আক্তার ও আকলিমা বেগম।