চান্দ্রার পীর সাহেবকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করায় পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ


ঐতিহ্যবাহী আধ্যাত্মিক দরবার ফরিদগঞ্জের চান্দ্রা দরবার শরীফের আলা হযরত পীর সাহেব কেবলা আল্লামা সাইফুল্লাহ নক্শবন্দী মোজাদ্দেদী (রঃ) কে নিয়ে ফরিদগঞ্জের রূপসা দায়চারা গ্রামের রুহুল আমিন মোল্লার ছেলে পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম কল্যাণ তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে কুরুচিপূর্ণ কটূক্তি করে পোস্ট দিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দরবার শরীফের ভক্ত মুরিদদের পক্ষ থেকে চান্দ্রা খাঁড়খাদিয়া গ্রামের মোঃ ফিরোজ আলম পাটওয়ারী ওই পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম কল্যাণের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। গত ৪ অক্টোবর এ অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগকারী ফিরোজ আলম পাটওয়ারী জানান, পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম কল্যাণ ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলো। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় এই সাইফুল ইসলাম কল্যাণ নিজ এলাকায় এসে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানাভাবে কাজ করেছে। তার চাচা ফজলুল করিম ও মাহফুজ মোল্লা জামায়াতের স্থানীয় নেতা। সরকার বিরোধী নাশকতা মামলায় ফজলুল করিম তিনবার এবং মাহফুজ মোল্লা একবার জেলে গিয়েছিলো। তার আরেক চাচা মোশারফ হোসেন ইসলামী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জামায়াতের অর্থদাতা। এই সাইফুল ইসলাম কল্যাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম কল্যাণের সাথে গতকাল রোববার এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি এ ব্যাপারে খুবই অনুতপ্ত। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে এবং আমার চাচাদের বিশেষ করে চাচা মোশারফ হোসেনের প্ররোচনায় পড়ে আমি ওই অন্যায় কাজটি করেছি। তাই আমি ক্ষমা প্রার্থী। বিশেষ করে চান্দ্রার হুজুরকে নিয়ে আমি আমার ফেসবুক আইডি থেকে যেসব আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছি, এর দ্বারা হুজুরের ভক্ত মুরিদদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্যে আমি ক্ষমা চাচ্ছি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি।