• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

আজ সপ্তমী পূজা

প্রকাশ:  ০৫ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। গতকাল এ উৎসবের সূচনা হয়। গতকাল শুক্রবার ষষ্ঠীবিহিত পূজার মাধ্যমে স্ব স্ব ম-পে দেবীকে বরণ করা হয় হৃদয়ের ভক্তি আর শ্রদ্ধা দিয়ে। গতকাল ষষ্ঠীবিহিত পূজায় ভক্তদের তেমন উপস্থিতি না থাকলেও উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানে রয়েছে সচেষ্ট। সকল পূজা ম-পেই পরিলক্ষিত হয়েছে পুলিশ সদস্যসহ আনসার সদস্যদের উপস্থিতি। রাস্তায় টহল দিচ্ছে র‌্যাব-১১ সদস্যগণ। এছাড়া রয়েছে পূজা ম-পের স্বেচ্ছাসেবকগণ। সর্বত্রই বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। তবে মাঝে মাঝে লোডশেডিং পূজারীদের কিছুটা হলেও বিরক্ত করছে। তাদের বিশ্বাস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পূজা চলাকালীন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদান করে পূজারীদের সহায়তা করবে।
জেলা শহরের পূজাগুলোর মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাজার এলাকায় পূজা হচ্ছে সর্ববৃহৎ বাজেটে। হাজীগঞ্জের পরেই রয়েছে ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া। তবে অন্যান্য উপজেলায়ও জাঁকজমকপূর্ণ পূজা হচ্ছে। চাঁদপুর শহর এলাকায় বড় বাজেটের পূজা না হলেও অধিকাংশ পূজা ম-পের বাজেট রয়েছে ৭/৮ লাখ টাকা। শহরের পূজাগুলোর মধ্যেও রয়েছে অঘোষিত প্রতিযোগিতা। তাই লাল, নীল, রং-বেরং-এর আলোর ঝলকানিতে পূজাম-পগুলো হয়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন। শহরের প্রায় ম-পেই নির্মিত হয়েছে সুউচ্চ তোরণ। আর এ তোরণ নির্মাণে এগিয়ে রয়েছে শহরের ঐতিহ্যবাহী পূজাম-প মিনার্ভা পূজা পরিষদ। শহরের মেথা রোড এলাকার এ পূজাটি গত বছর থেকে নারীগণ পরিচালনা করে আসছে। প্রায় ২০৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি নিয়ে তারা মাতৃ আরাধনায় ব্রত হয়েছেন। তাদের উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন পৌরসভার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জীবন কানাই চক্রবর্তী, রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী চম্পক সাহা, সুকান্ত সাহা টিটু, বিপ্লব চক্রবর্তী, রিপন ভদ্র, সমর কান্তি সাহাসহ গণ্যমান্য অনেকেই। তাদের আয়োজন অন্যান্য পূজা ম-পের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। বলা যেতে পারে নিঃসন্দেহে ভালো এবং দর্শনীয় পূজা ম-প।
পূজা উপলক্ষে শহরের স্থাপিত অন্যান্য তোরণের তুলনায় বৃহৎ তোরণ নির্মিত হয়েছে মিনার্ভা পূজা ম-পে। যা অনেক দূর থেকে দর্শকদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম। এ পূজার সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী রুপালী চম্পক আর সাধারণ সম্পাদক হলেন শিখা চক্রবর্তী (বুলি)। কথা হয় দপ্তর সম্পাদক শিক্ষক লীলা মজুমদারের সাথে। তিনি কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন,  সকলের আন্তরিক সহযোগিতাই আমরা মায়ের পূজা সম্পন্ন করতে পারছি। তবে আমাদের পূজা ম-পের পাশে থাকা ডাস্টবিন আমাদের ধর্মীয় চেতনায় আঘাত দেয়। যে কোনো ধর্মীয় আরাধনায় পরিবেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ডাস্টবিনের দুর্গন্ধময় পরিবেশ আমাদের ধর্মীয় কার্যক্রমে সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। যদি পৌর মেয়র এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করেন তাহলে আমরা বেশ উপকৃত হবো।
তিনি বিদ্যুতের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা পূর্বে মন্দিরে এনালগ মিটার ব্যবহার করেছি। কিন্তু পূজার কারণে তা ব্যবহার করা যাবে না। বিদ্যুৎ অফিসের বারবার তাগাদার ফলে আমাদেরকে মেশিন রিডেবল প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করতে হয়েছে। যা স্থাপন করতে গিয়ে আমাদেরকে প্রায় ৩০ হাজারের মতো টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। যা বর্তমান পূজার সময় আমাদের জন্যে বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদেরকে ১২ কিলোসম্পন্ন মিটার সংগ্রহ করার কারণে এখন মন্দিরে প্রতি মাসে সাড়ে ৬শ’ টাকা হারে বিদ্যুৎ বিল গুণতে হবে। অথচ আরো কম কিলোসম্পন্ন মিটার সংগ্রহ করা হলে আমাদেরকে বাড়তি চিন্তা করতে হতো না। অথচ পূজার পর মন্দিরে ২/১টি লাইট ছাড়া কিছুই জ্বলবে না। তিনি পূজা পরিদর্শনে সকলকে আমন্ত্রণ জানান।  এ বছর মিনার্ভা পূজা পরিষদের বাজেট হলো ৪ লাখ টাকা। যা গত বছরের চেয়ে ১ লাখ টাকা বেশি। এ বছর তারা পূজার দিনগুলোতে প্রসাদের ব্যবস্থাসহ নবমী পূজার দিন নর-নারায়ণ সেবা, বস্ত্রদান, আরতী প্রতিযোগিতাসহ বেশকিছু ধর্মীয় কর্মসূচি গ্রহণ করছেন।

 

সর্বাধিক পঠিত