• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁঁদপুরে জমে উঠেছে পূজোর কেনাকাটা

হেমন্তের সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে কাশফুলের শুভ্রতায় সিঁদুররাঙা আমেজ নিয়ে আসছে শারদীয় দূর্গাপূজা।

প্রকাশ:  ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৫৬
চাঁদপুর প্রতিনিধি ।।
ছবিঃ চাঁদপুর শহরে পূজোর কেনাকাটার দৃশ্য।
প্রিন্ট
৪ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী পূজা দিয়ে শুরু হবে এবারের দুর্গোৎসব। হাতে সবে দুইদিন। বেশি সময় নেই তাইতো মণ্ডপ ও প্রতিমা সাজানোর পাশাপাশি এ উৎসবকে কেন্দ্র করে এখন চলছে কেনাকাটা। শেষ সময়ে এসে জমে উঠেছে চাঁদপুরে পূজোর বাজার। শহরের ফ্যাশন হাউজ ও মার্কেটগুলো সেজেছে পূজোর পোশাকে।
 
পূজা চলবে প্রায় একসপ্তাহ  ধরে, তাই মাত্র একটি পোশাকে কী হয়? পূরবী ও পৌর নিউ মার্কেটের কয়েকজন ক্রেতা বলেন, পূজোর শাড়ী মানেই লাল পাড়ে সাদা শাড়ী।
 
‘মা দুর্গাকে বরণ করতে লাল-সাদার সনাতনী সাজ অবশ্যই থাকবে। তবে একটু ভিন্ন আয়োজন আছে।  প্রায় ছয় দিনে ধাক্কা। তাই দুটা জামাদানি আর কাতান শাড়ী নিয়েছেন তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার পূজায় বাচ্চাদের ফ্লোর টাচ ও মোদি কোটির চাহিদা রয়েছে। আর খুজছেন জামদানি ও সিল্কের শাড়ি। সমান তালে মেয়েরা ভিড় করছেন শাখা-সিঁদুরের দোকানে।
 
এদিকে পূজা উপলক্ষে রেলওয়ে হকার্স মার্কেট, কুমিল্লা সড়ক, জেএম সেন গুপ্ত সড়ক, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কেরর প্রতিটি মার্কেট ও বিপনী বিতানেরর দোকান বা শো- রুমে লাল-সাদার সালোয়ার-কামিজসহ বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের পোশাক রয়েছে। আরো আছে সালোয়ার-কামিজের শাড়ি, ফতুয়া ও উজ্জ্বল রঙের ওড়না। ছেলেদের জন্য এসেছে বাহারি সব ডিজাইনের ধুতি ও শর্ট পাঞ্জাবি।বিক্রিতে পিছিয়ে নেই জুতা, তৈরি পোষাক ও প্রসাধনী দোকানগুলো।
এবার শারদীয় পূজা উপলক্ষে বাজারে এসেছে এপেক্স, বাটা, ওরিনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নতুন নতুন ডিজাইনের জুতো।শারদোৎসবের পোশাকে লাল হচ্ছে শক্তির আর সাদা শুভ্রতার প্রতীক হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে আসছে।
 
 
পুরাণবাজার ২ নং বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ধ্রুবরাজ বণিক জানান,আগে দুর্গা পূজায় স্কুলগুলোতে সরকারি বন্ধ ছিল তিন দিন। এবার সরকার পূজার ছুটি ৫ দদিন করেছে। সুতরাং এবার পূজা হবে খুবই উৎসব মুখর। সেনালী বস্রালয়ে কেনাকাটা করতে এসে ক্রেতা তিশা সাহা জানান, দশমীর জন্য লাল-সাদা সিল্ক শাড়ি কিনেছেন।পূরবী মার্কেটের দোকানের ক্রেতা রাখী রায় জানান, ষষ্ঠীর জন্য গাঢ় নীল রঙের লং ড্রেস কিনেছি। নুর ম্যানশনের দোতলায় আঁখি মনি
টেইলার্সের মাষ্টার মিন্টু জানান, পূজোর পনের দিন আগ থেকে নতুন ডিজাইনের সালোয়ার-কামিজের বেশ অর্ডার পেয়েছেন।এখন সেই পোষাকের ডেলিভারী দিচ্ছেন। পৌর নিউ মার্কেটের আশা ক্লথ স্টোরের সন্দীপ জানান, এবার পূজায় শাড়ী,থ্রী-পিচ ও কাটা থ্রী-পিচ বিক্রি ভালই যাচ্ছে। জামদানি, বালুচুরী ও কাতান শাড়ীর চাহিদা বেশী। পাশের নিউ মা মনি ক্লথ স্টোর দোকানেও বেচা বিক্রি বেশ হচ্ছে। শিশুদের পোশাকেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন। রেডিমেট পোষাক ও প্রশাধনীর পুরনো দোকান বিউটি স্টোরের মালিক সুবল দে বলেন, বৃস্টির জন্য বেচা বিক্রি তেমন হচ্ছে না। শহরে অনেক দোকান হয়ে গেছে। এখন ব্যবসা আগের পর্যায় নেই।
 
শহরের মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এবং সন্ধ্যার পর থেকে সনাতনী পরিবারের লোকজন পূজার কেনাকাটার জন্য এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে যাচ্ছেন আর পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করছেন।

সর্বাধিক পঠিত