বেহায়াপনার আরেক নাম চাঁদপুর ফাইভস্টার শিশুপার্ক


চাঁদপুর সদরের দক্ষিণ আশিকাটিতে অবস্থিত ফাইভস্টার শিশুপার্ক এন্ড কমিউনিটি সেন্টার। কেউ বাবুরহাট অথবা শাহতলী ফাইভ স্টার শিশুপার্ক নামে চেনে।
সাইনবোর্ডে দূর থেকে ফাইভস্টার শিশুপার্ক এন্ড কমিউনিটি সেন্টার লিখা নামে মাত্র। সচেতন মানুষ বলেন, নামে ফাইভ স্টার শিশুপার্ক কামে বেহায়াপনা।
বিশ^স্ত সূত্রে জানায়, প্রতিদিন সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে কপোত কপোতীদের ভীড় লক্ষ্যণীয়। প্রত্যেকেই জুটি বেঁধে রিকশা, অটোবাইক ও সিএনজি অটোরিকশা করে চলে আসে। যে যার মতো করে পছন্দের বসার জায়গাটুকু বেছে নেয়। কপোত কপোতীদের জুটিরা যে যার মতো করে বেহায়াপনা করে থাকে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ছাত্র-ছাত্রীদের আসাটা বেশ লক্ষ্যণীয়। এরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির সঙ্গে মিল রেখে আবার চলে যায়। আর মধ্য বয়সী প্রবাসীর স্ত্রী অথবা অন্য নারীরা আসে দুপুরের পরে। আবার অনেক নারী বিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়েদের দিয়ে চলে আসে। কিন্তু রুচিশীল পরিবারবর্গ বেহায়াপনার চিত্র দেখলে দ্বিতীয়বার আর এখানে আসে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার ক’জন ব্যক্তি বলেন, এখানে প্রতিদিন সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ আসে। ভেতরে তারা বেহায়াপনা করে থাকে। কেউ কিছু বলছে না। এরা একটু প্রভাবশালী।
ক’জন সিএনজি স্কুটার চালক জানান, ফাইভস্টারে যে সকল ছেলে-মেয়ে এসে থাকে তাদেরকে আসার সময় নিয়ে আসি। যাওয়ার সময় নেই না। কারণ এরা বেহায়াপনা করেছে। পুলিশ সুপার শামসুন নাহার স্যার একবার অভিযান চালিয়েছেন। এখন আবার অভিযান দেওয়া দরকার, তাহলে আর ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার ক্ষতি হবে না ও বেহায়াপনাও হবে না। পার্কে মানুষ ঘুরতে আসে, বসে কথা বলবে, কিন্তু তারা গাছের আড়ালে বসে হাতাহাতি করে থাকে। অনেক সময় দেখি মেয়েরা ছেলেদেরকে রেখে চোখ ডলতে ডলতে রিক্সা অথবা সিএনজি অটোরিকশা করে চলে যায়। ছেলেটি পেছন থেকে ডাকলেও মেয়েটি ছেলেটির ডাকে সাড়া না দিয়ে চলে যায়।
প্রশাসন এ পার্কটির প্রতি দৃষ্টি দেবে বলে সচেতন মহলের প্রত্যাশা।