• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

অন্ধ ভিক্ষুক মনোহর আলী পরিবারের দায়িত্ব নিলেন মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি

প্রকাশ:  ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২৩:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর-৫ আসনের সাংসদ,সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম’ এমপির চাঁদপুরে তার এলাকায় প্রধান মন্ত্রীর প্রকল্প-২ ‘যার জমি আছে, ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় ২৪০জন গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি তুলে দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি নিজ এলাকার এক জনম দূঃখী অন্ধ ভিক্ষুক মনোহর আলীর ঝুঁপড়ি ঘরে ডুকে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। এ সময় তিনি অন্ধ ভিক্ষুক মনোহর আলীকে আশ^স্থ করেন, ৩ শতাংশ জায়গা কিনে বাড়ি করে দেওয়া, আপনার ৩ মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে এবং যেই পর্যন্ত আপনার বাড়ী না হবে সেই পর্যন্ত আপনি বাসা ভাড়া থাকবেন, সেই থাকার টাকা আমরা আপনাকে দেবো। এ সময় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম অন্ধ মনোহর আলীর হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

এক জনম দূঃখী মনোহর আলী। চাঁদপুরের শাহরাস্তির সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে তার বস-বাস। জন্মগতভাবেই অন্ধ মনোহর আলী ভিক্ষা করেই তার জীবন চলে। ৩ মেয়েকে নিয়ে থাকেন একটি ঝুঁপড়ি ঘরে। আপনজন বলতে স্ত্রী আশরাফী বেগম, ৩ মেয়ে জ্যো¯œা, সালমা, নাজমা। গত কয়েক দিন ধরেই মনোহর আলীর দূঃখ দূর্দশা নিয়ে লেখা-লেখি হচ্ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে। এক পর্যায়ে সংবাদকর্মীদের বদৌলতে ঝুঁপড়ি ঘরে অন্ধ মনোহর আলীর বস-বাস বিষয়টি ভাইরাল হয়ে পড়লে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম’ এমপির নজরে আসে। তিনি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আকতারকে অন্ধ মনোহর আলীর বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে বলেন। ইউএনও মনোহর আলীর খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন সত্যিই মনোহর আলী একজন অসহায়, খুবই দূঃস্থ। তার পরই সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। সংসদ সদস্যের নির্দেশে ইউএনও শিরিন আকতার তাকে কিনে দেয় চাল, ডাল’সহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং  নগদ ৫ হাজার টাকাও।

রবিবার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম সরাসরি সেই মনোহর আলী ও তার পরিবারকে দেখতে যান শোরসাক গ্রামে। সেখানে অন্ধ ভিক্ষুক মনোহর আলী সংসদ সদস্য তার ঘরে আসলে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপিসহ তার সাথে আগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আকতার, পৌর মেয়র আলহাজ¦ আবদুল লতিফ মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান মিন্টু, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদার সহ নেতা-কর্মীদের কেহুই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয়।

অন্ধ ভিক্ষুক মনোহর আলী তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, অনেক বছর ধরে খুবই কষ্টে আছি। কেউ কখনো খোঁজখবর নেয়নি। আপনি আমাদের পাশে দাড়িয়েছেন। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ আপনার সহায় হউক। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও হাত তুলে দোয়া করেন।

মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জনগনের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জনগনের খোঁজ খবর নেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আনাছে কানাছে অনেক মনোহর আলী পড়ে আছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষের দূঃখ কষ্ট লাগবে কাজ করছে। সেখানে একজন মনোহর আলী স্ত্রী সন্তান নিয়ে এভাবে দূঃখ কষ্টে থাকবে তা মেনে না যায়না। আমরা তাকে জায়গা কিনে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্ব-রুপ একটি ঘর প্রদান করবো। তিনি সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে আরো বলেন, আপনারা গ্রাম-গঞ্জের এসব চিত্র তুলে ধরবেন। অসহায়দের পাশে থাকবেন। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে গ্রাম-গঞ্জের অবহেলিত চিত্র উঠে আসবে।

একই দিন বিকেলে হাজীগঞ্জে শেখ হাসিনার উপহার প্রধান মন্ত্রীর আশ্রহয়ণ প্রকল্প-২ ‘যার জমি আছে, ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় ২৪০জন গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি তুলে দেন।

সর্বাধিক পঠিত