• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

ইলিশের দামে অসন্তুষ্ট ক্রেতা

প্রকাশ:  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর মাছঘাটে ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ‘মাছের রাজা’ ইলিশ। পদ্মা-মেঘনায় প্রত্যাশিত ইলিশ পাওয়া না গেলেও সাগর ও উপকূলীয় এলাকা নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়া রূপালি ইলিশে স্থানীয় বাজারে বেড়েছে সরবরাহ। তবে দামে সাশ্রয়ী না হওয়ায় ইলিশের স্বাদ নিতে পারছেন না সব শ্রেণির ক্রেতা। ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম না কমায় অনেকটা হতাশ ও অসন্তুষ্ট সাধারণ ক্রেতারা।
৮ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের চেয়ে ইলিশ ঘাটে আসছে খুবই কম। প্রতিদিন গড়ে যেখানে তিন-চার হাজার মণ ইলিশ অবতরণ হতো ঘাটে। মাছের আমদানি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
হাজী মালেক খন্দকার, শবেবরাত হাজী, কালু ভূঁইয়া, ইকবাল বেপারি, রব চোকদারসহ অন্যান্য আড়তে ৫/৬টি করে ঝুড়ি ভর্তি ইলিশ ভাটির (নামার) অঞ্চল থেকে এসেছে সড়কযোগে। ইলিশের আমদানি কমে যাওয়ায় মাছের দামও বেড়ে গেছে মণ প্রতি ৪/৫ হাজার টাকা।
চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক আঃ খালেক বেপারী জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকায় সাগরে সিগনাল, সেজন্যে মাছ কম, বাজার মন্দা।
পাইকারী ইলিশ ক্রেতা পুরাণবাজারের রফিক বেপারী জানান, গত দুই দিন যাবত ঘাটে ইলিশ কম হওয়ায় দাম চড়া। লোকাল নদীর বড় ইলিশের মণ ৪৪/৪৫ হাজার টাকা। মাঝলা ইলিশ ৩২/৩৩ হাজার ও ছোট ইলিশ ২৫/২৬ হাজার টাকা মণ পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। যার কেজি পড়ছে ৬শ’ ও সাড়ে ৬শ’ থেকে হাজার- বারোশ টাকা।
ভাটির অঞ্চল হাতিয়া ও সাগরের ইলিশের মণ বিক্রি হচ্ছে ৪২/৪৩ হাজার টাকা, মাঝলা ত্রিশ হাজার এবং ছোট ইলিশ ২৩/২৪ হাজার টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, অন্য বছরের তুলনায় এবার ভাদ্র মাসে সাগরে আহরিত প্রচুর ইলিশ চাঁদপুরে আমদানি হয়েছে। সে সুবাদে ঘাটে এবং বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম তেমন একটা কমেনি।
ভরা মৌসুমে সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় সন্তুষ্ট জেলে ও সংশ্লিষ্ট মাছ ব্যবসায়ীরা। প্রচুর সরবরাহ থাকায় মাছের বাজারে রাজত্ব করছে ইলিশ। কিন্তু মাছ কিনতে এসে অসন্তুষ্ট হয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। তাদের দাবি, বাজারে যে হারে ইলিশ আসছে, দাম কমছে না সে অনুযায়ী। বড় ইলিশের দিকে বেশি নজর থাকায় বিক্রেতারা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো দাম হাঁকাচ্ছেন।

 

সর্বাধিক পঠিত