চাঁদপুর জজ আদালতে ৩ মাসে সাড়ে ৯শ’ মামলা নিষ্পত্তি


চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত কর্তৃক চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত দেওয়ানী ও ফৌজদারি মিলিয়ে সাড়ে ৯শ’ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে দেওয়ানী মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ৯৪টি এবং ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৫৬টি।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা জজশীপের আয়োজনে জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে দ্বিতীয় ত্রৈ-মাসিক জুডিসিয়াল কনফারেন্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জুলফিকার আলী খাঁন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূরে আলম।
অনুষ্ঠানে পেন্ডিং প্রসেস জারি ও তামিলের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাসমূহ দূরীকরণ, আদালতে সাক্ষীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, সাক্ষীদের আদালতে আসা-যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বিধান, অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধাসমূহ দূরীকরণ, জেল-হাজত হতে বিচারাধীন বন্দীদের আদালতে যথাসময়ে হাজিরকরণ, হুলিয়া ও ক্রোকী পরোয়ানা দ্রুত জারিকরণ, আদালত প্রাঙ্গণে বিচারক ও বিচারিক কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ, মালখানা হতে যথাসময়ে মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট আলামতসমূহ আদালতে উপস্থাপন, বিচার কার্য সুচারুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে বিচার বিভাগের সাথে অন্যান্য বিভাগের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধিকরণ, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানটি দু’টি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্ব সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা ও দায়রা জজের স্বাগত বক্তব্য শেষে বিচারকগণ তাদের স্ব স্ব আদালত ও দপ্তরের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
চাঁদপুর জজশীপের ২০১৯ সালের দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক বিবরণে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ধরনের মামলার জের ২৭০৯২টি, মামলা দায়ের/প্রাপ্ত ৩১৩২টি, মোট মামলা সংখ্যা ৩০২২৪টি। বদলি মামলা সংখ্যা ৮১টি। বদলি বাদ দিয়ে মামলা সংখ্যা ৩০১৪৩টি। নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯৩৩টি। বিচারাধীন মামলা রয়েছে ২৮ হাজার ২শ’ ১০টি।
কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সরোয়ার আলম, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত এসপি) মোঃ মিজানুর রহমান, অ্যাডিশনাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ কায়সার ইউসুফ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শফিউল আলম, মোঃ হাসান ইমাম, মোঃ কফিল উদ্দিন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজাম মুনীরা, অরুন পাল, কার্তিক চন্দ্র ঘোষ, সহকারী জজ আসমা জাহান নিপা, আলীনুর ইসলাম, মোহাম্মদ ইসমাইল, মিথিলা রাণী দাস, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আনোয়ারুল আজিম, চাঁদপুর সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডাঃ মোঃ গোলাম কাওসার, পিপি আমান উল্লাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট হাবিবুল ইসলাম তালুকদার, চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শেখ মোঃ জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসেন, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মামুনুর রশিদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ মজিবুর রহমান, পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ পরিদর্শক কবির আহাম্মদ ও গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আলী হোসেন মজুমদার।