চাঁদপুরে ৬৯ টি মন্দিরে চলছে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম।
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৪১ | আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০১৯, ১৬:৪৮
চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ


চাঁদপুরের ৮ উপজেলার ৬৯ টি মন্দিরে ৫ম পর্যায়ে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চলছে। যেখানে 'আমার প্রথম পড়া' ও ''সনাতন ধর্ম শিক্ষা'' নামক ২টি বিনামূল্যের বই থেকে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। এ কার্যক্রম সম্পর্কে এ তথ্য জানান, চাঁদপুরের সহকারী প্রকল্প পরিচালক অমিত কুমার।
তিনি বলেন, আমাদের চাঁদপুর সদরে ৭টি, হাইমচরে ৫টি, হাজীগঞ্জে ৭টি, শাহরাস্থিতে ২টি, ফরিদগঞ্জে ১২টি, কচুয়ায় ১৩টি, মতলব দক্ষিণে ১৫টি এবং মতলব উত্তরে ৮টি সহ মোট ৬৯ টি কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে ৩ থেকে ৫ বছরের প্রাক-প্রাথমিকের শিশুদের এ কর্যক্রমের অংশ হিসেবে সনাতন ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। আর এসব কেন্দ্রের প্রতিটিতে ৩০ জন করে সনাতন ধর্মালম্বি শিক্ষার্থী এ ধর্মীয় শিক্ষা নিচ্ছে। যাদের প্রতিদিন সুবিধাজনক সময়ে আড়াই ঘন্টা করে পাঠদান করছেন কেন্দ্র প্রতি ১ জন করে মোট ৬৯ জন শিক্ষক।
আমরা আমাদের শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে শিশু শিক্ষার্থীদের দৈনিক সমাবেশ ( স্কুলে আসা যাওয়া ), জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, জাতীয় সংগীত গাওয়া, শপথ বাক্য পাঠ, যোগ ব্যয়াম, ধর্মীয় স্লোক বা মন্ত্র, গত দিনের পড়া আদায় এবং খেলার ছলে নতুন পড়া শিখানোর কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এই শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের পড়ানো শিক্ষককে মাসিক সাড়ে ৪ হাজার টাকা ও পূজোর বোনাস দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, ৫ম পর্যায়ের এ কার্যক্রম গত ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়। যার জন্য সারা দেশে প্রায় ২'শ ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরে জেলার চাহিদা অনুযায়ী এ কার্যক্রমের জন্য ওই টাকা থেকে জেলা প্রতি বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা মন্দির কমিটির সভাপতির মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক শিক্ষার এ কার্যক্রমে কেন্দ্রে কমপক্ষে এসএসসি পাশ করা শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।