চাঁদপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষিকা জয়ন্তি হত্যার রহস্য উদঘাটন
ধর্ষণের পর খুন করার কথা স্বীকার করেছে আটক ২ ডিশ কর্মচারী।
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৫৪ | আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০১৯, ১৮:১৬
স্টাফ রিপোর্টার।।


চাঁদপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তী(৪৫) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর। সন্দেহজনক আটক এলাকার দুই ডিশ কর্মচারী জামাল(২৮) ও আনিছ(৩২) হচ্ছে ঘাতক। ধর্ষণের কথা জানাজানি হয়ে যাবে একারণে তারা ওই স্কুল শিক্ষিকাকে জবাই করে হত্যা করে। এ ব্যাপারে আটক জামাল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

পাশবিক নির্যাতন করার উদেশ্য নিয়ে মাদকাসক্ত ওই দুই ঘাতক পরিকল্পিতভাবে চাঁদপুর ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তীকে হত্যা করে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়। রোববার বিকেল তিনটায় চাঁদপুর শহরের পিবিআই কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের এসপি মোঃ ইকবাল।
হত্যাকাণ্ডের পূর্ব মুহূর্ত থেকে শেষ পর্যন্ত ঐ বাড়িতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কারা অবস্থান করেছিল তা চিহ্নিত করার পর পিবিআই'র ৬/৭ সদস্যের তদন্ত টীম আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডিশ লাইন কর্মচারী জামাল হোসেন ও আনিছুর রহমান ঘটনার সময় ওই বাড়িতে অবস্থান করার বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তারা দুজনে চাঁদপুর ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধিকারী মালিক রমজানের কর্মচারী হিসেবে ষোলঘর ওয়াপদা এলাকার ডিস লাইন সংযোগ দেকভাল করত।
পিবিআই এসপি মোঃ ইকবাল আরো জানান, সারাদেশে যখন পদ্মা সেতু নিয়ে গলাকাটা গুজব চলছিল ঠিক তখনই চাঁদপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টারে গলা কেটে শিক্ষিকা জয়ন্তীকে হত্যা করা হয়েছে। জয়ন্তী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমেই হত্যার কোন ক্লু না পাওয়া গেলেও কিছুদিনের মধ্যেই মূল হোতাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে মূল হোতাদের আটক করা ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।

আটক ডিসের স্টাফ আনিছ ও জামাল ঘটনার দিন দুপুরে কোয়ার্টারে গিয়ে শিক্ষিকা জয়ন্তীকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। তিনি ডাকচিৎকার দিতে শুরু করলে ঘাতকরা বাসায় টেবিলে রাখা ফল কাটার ছুরি নিয়ে শিক্ষিকা জয়ন্তীর গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘাতক জামাল পাউবো সংলগ্ন বিটি রোড এলাকার মৃত জাবেদ উল্লার ছেলে। অপর দিকে আনিছ ষোলঘর পাকা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা আলী হোসেন গাজীর ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই রবিবার বিকালে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ। ওই সময় সন্দেহজনক হিসেবে ডিশ লাইনম্যান জামাল ও আনিছকে আটক করা হয়।পরে হত্যার ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে পিবিআইতে ন্যস্ত করা হয়।