• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান

কোনো কিছু ঘটার আগেই যারা প্রশাসনে ও জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের তৎপর হতে হবে

প্রকাশ:  ১৯ আগস্ট ২০১৯, ১০:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান বলেছেন, সারা বাংলাদেশে সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। তার মধ্যে চাঁদপুরেও প্রতিটি উপজেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে মডেল মসজিদ হচ্ছে।  চাঁদপুরে নয়টি মডেল মসজিদ হবে। ইতিমধ্যে মসজিদের জন্যে জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কচুয়া, মতলব উত্তর, হাজীগঞ্জ ও হাইমচরে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি গতকাল ১৮ আগস্ট রোববার সকাল ১০টায় জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় সভাপ্রধানের বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে বিগত মাসের প্রতিবেদন তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মোঃ আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আনোয়ারুল আজিম, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান প্রমুখ।
সভায় চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম দেওয়ান, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুছ, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এএইচএম গিয়াস উদ্দিন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহবুব-উল-আলম লিপন, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার, চাঁদপুর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু রায়হান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হুমায়ুন কবির, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র নন্দীসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি  উপস্থিত ছিলেন।
 সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, কোথায় কী ঘটছে, সবকিছুই মনিটরিং করা হচ্ছে। নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, আগুন লাগার ঘটনাসহ কোনো কিছু ঘটার আগে যারা প্রশাসনে এবং জনপ্রতিনিধি আছেন তারা তৎপর থাকবেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শত শত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন। সবাই আন্তরিক হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদের বক্তব্যের আলোকে জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুরে কোনো মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে প্রশাসনকে অবহিত করুন। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। প্রয়োজনে গার্ড অব অনারে আমি থাকবো।
সভায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা, ডেঙ্গু বিষয়ে সজাগ ও সতর্ক থাকা, দখল হয়ে যাওয়া বিআইডব্লিউটিএ’র  জমি উদ্ধার, হাইমচরের নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া, মশা নিধনে পদক্ষেপ গ্রহণ, মতলব উত্তরে হাসপাতাল নির্মাণ কাজ করতে বিলম্ব হওয়া, জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করা, দ্রব্যমূল্যের অস্থিতিশীলতা রোধে বাজার মনিটরিং জোরদার করা এবং মুজিববর্ষ নিয়ে বিশদ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি একটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গুর এই ভয়াবহতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা আরো বাড়াতে হবে। গণসচেতনতার অংশ হিসেবেই আমরা আবারো পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করবো। পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিয়ে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- প্রচারের অংশ হিসাবে এলইডি বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। চাঁদপুরবাসীর সুপেয় পানির জন্যে জেলা পরিষদের নির্ধারিত স্থানে গভীর পুকুর খনন করা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির অংশ হিসাবে ই-নেট ভিত্তিক সকল সরকারি সেবা সম্পর্কে সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ততা আরো বাড়াতে হবে।