• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

সাচারে এক হিন্দু পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখল ॥ আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ

প্রকাশ:  ০৯ আগস্ট ২০১৯, ১১:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়ার সাচার এলাকায় এক হিন্দু পরিবারের পৈতৃক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে ফিলিং স্টেশন তৈরির কাজ করছিলো একই এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত। পরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত ওই সম্পত্তির ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। আদালতের এ আদেশের পর বিবাদী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী পক্ষকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। সাচার এলাকার মৃত অমৃত চন্দ্র ধরের ছেলে খোকন চন্দ্র ধর একই এলাকার মৃত আঃ কাদির দর্জির ছেলে মোঃ শহিদ উল্লাহ দর্জির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার ২০নং সাচার মৌজার বিএস ১২৭৩ ও ২৪নং খতিয়ানভুক্ত হাল ৯২৪ দাগে ১২ শতক ভূমি, হাল ৯২৫ দাগে ২ শতক ও হাল ৯২৬ দাগে ৩ শতকসহ মোট ১৭ শতক ভূমি খোকন চন্দ্র ধর গং পৈতৃক ও ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে দখলে রয়েছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে তারা দেখতে পান সাচার-গৌরিপুর রোডের পাশে অবস্থিত তাদের ৯ শতাংশ জায়গার ওপর উক্ত শহিদ উল্লাহ দর্জি গং মিতুমনি এলপিজি গ্যাস ও ফুয়েল ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করছেন। তখন খোকন চন্দ্র ধর তার পরিবারের লোকজনসহ বাধা দিতে গেলে তারা তাদেরকে মারধর করে এবং এই সম্পত্তির কাছেও যেনো না আসে সে জন্যে হুমকি ধমকি দেয়। পরে খোকন চন্দ্র ধর বাদী হয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় একটি দরখাস্ত করেন। এতে বিবাদী করা হয় শহিদ উল্লাহ দর্জি, দীনেশ ধর ও গণেশ চন্দ্র ধরকে। এই দরখাস্তের আলোকে বিজ্ঞ আদালত নালিশী সম্পত্তির ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। এরপর অবৈধভাবে নির্মাণাধীন ফিলিং স্টেশনের কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানান বাদী পক্ষ। আর এতেই বিবাদী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী পক্ষকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন।