চাঁদপুর-হাইমচর ভাঙন রক্ষায় ১১শ’ কোটি টাকার স্থায়ী প্রকল্প গ্রহনের আশ্বাস।
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০১৯, ১৮:০৮ | আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৪৪
চাঁদপুর প্রতিনিধি।।

চাঁদপুর পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় মেঘনার ভাংগন।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, যে কোন মূল্যে মেঘনার ভাঙন থেকে চাঁদপুরকে রক্ষা করা হবে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেঘা প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর ও হাইমচর উপজেলা স্থায়ীভাবে রক্ষাকল্পে ১১শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প একনেকে পাশ হওয়ার পরেই চলতি বছরের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।
সোমবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার ভাঙ্গনস্থান পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ১১শ’ কোটি টাকায় যদি ভাঙ্গন রক্ষা না হয়, প্রয়োজনে ১৫শ’ কোটি টাকা এ প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। এসময় তিনি জনতার দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের কাজটি যাতে করে সেনাবহিনী মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়, সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করা হবে বলে জানান।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল ও জেলা প্রশাসক ভারপ্রাপ্ত মো. শওকত ওসমান।

মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ডিজাইন মোতাহার হোসেন ও প্রধান প্রকৌশলী কুমিল্লা অঞ্চল জহির উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জাহিদ পারভেজ চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ অন্যান্যকর্মকর্তা,ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ ও দলীয় নেতা-কর্মি উপস্থিত ছিলেন।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে তাৎক্ষনিকভাবে দুই বান্ডেল টিন ও নগদ ৬হাজার টাকা করে বরাদ্দের ঘোষণা দেন মন্ত্রী। এদিকে হরিসভা এলাকার ভাংগন প্রবনতা কিছু কমেছে। এখন ভাঙ্গনস্থান রক্ষায় সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার বস্তা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান। এখানে ১৫ হাজার বালুবস্তা ফেলা হবে। এরপর স্থাপন করা হবে সিসি ব্লক।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে হঠাৎ করে মেঘনার ভাংগনে হরিসভা মন্দির এলাকার প্রায় ২’শ মিটার ব্লকবাঁধসহ বেশকিছু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়। এতে স্থানিয় ১৫টি পরিবার ভিটে-মাটি ও গৃহহারা হয়ে পড়ে। স্থানিয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির নির্দেশে তাৎক্ষনিক ভাংগন ঠেকাতে জরুরী ভিত্তিেিত কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। রবিবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার ভাংগন স্থান পরির্দন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। গতকাল সেই জায়গা দেখার জন্য চাঁদপুর সফর করে গেলেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। স্থানীয় এমপি ও শ্ক্ষিামন্ত্রী ডাঃ দীপুমনি তাঁর স্বামী গুরুতর অসুস্থ থাকায় তিনি না এসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবকে অনুরোধ করে ভাংগনস্থান দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলীগণ জানিয়েছেন চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের পুরাণবাজার এলাকার প্রায় ৫০০ মিটার এলাকাই ভাংগন ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে ভাংগন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রদক্ষেপ না নিলে প্রতিবছরই চাঁদপুরকে নদী ভাঙ্গনের শিকার হতে হবে।