• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের পুরাণবাজারে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গন।

৭ টি বসতঘর বিলীন, ভাঙ্গনের মুখে হরিসভা রাস্তা মন্দির ও আশাপাশের বাড়ি-ঘর

প্রকাশ:  ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৮:০২ | আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১৮:১৬
চাঁদপুর প্রতিনিধি
পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার বড় একটা অংশ নদীতে বিলিন।
প্রিন্ট
চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভায় আবারো মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ৩জুলাই শনিবার রাত ৯টার সময় হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স গেইটের সম্মুখ মরন সাহার বাড়ির শহর রক্ষার ব্লকবাধ হঠাৎ করেই  ধসে যায়। এরপর শুরু হয় ব্যাপক নদী ভাঙ্গন । এতে শহর রক্ষা ব্লকবাঁধে ৩'শ মিটার এলাকা ভেঙ্গে গিয়ে মরণ সাহার বাড়ির ৫ টি ও  পাশের শম্ভুনাথ মজুমদারের ২টিসহ ৭ টি বসতঘর মুহূর্তের মধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়াও আশপাশের অনেকটা অংশ জুড়ে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন রাতের মধ্যই তাদের বসতঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হরিসভা রাস্তা ও মন্দিরের অংশ নদী ধরে ফেলেছে। ভাংগনেরর পরিধি আরো বাড়ছে। ভাংগন আতঙ্কে কয়েক'শ পরিবার নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বের্ডের উপ সহকারি প্রকৌশলী মো. আশ্রাফ জানান, প্রচন্ড স্রোতের কারণে হঠাৎ করে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে আমাদের তত্ত্ববাবধায়ক ও নির্বাহী প্রকৌশলীসহ আমরা ছুটে এসেছি। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমানে বালি ভর্তি জিও ভ্যাগ মজুদ রয়েছে। শনিবার রাতেই ভাঙনস্থানে বালুবস্তা ফেলা শুরু হয়েছে।
 
এদিকে ভাঙ্গনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির,চাঁদপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী, চেম্বার অব কর্মাসের সিনিঃ সহ সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝি, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, পৌর যুবলীগের আহবায়ক আঃ মালেক শেখ  পরিদর্শন করেন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করেন।
এছাড়া জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারন  সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা ঘটনাস্থলে অবস্থান নে- ফায়ার সার্ভিস টীম, থানা,ফাঁড়ি পুলিশ,কমিউনিটি পুলিশ ও বিদুৎ কর্মিরা এ সময় অসহায় মানুষের পাশে থেকে উদ্ধার তৎপরতায় কাজ করেন। ভাঙ্গনস্থানে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর শহীদ হোসেন, এসআই জাহাঙ্গীর আলম,পলাশ বড়ুয়াসহ ফাঁড়ির পুলিশ টহল সদস্যরা এসময় সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়েজিত ছিলেন।
 
মেঘনার ভাঙন পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে, বর্তমানে পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার বড় একটা অংশ নদীতে বিলিন হয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন স্থানিয়রা।পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝি জানান, স্থানিয় সাংসদ ও শিক্ষমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি নদী ভাঙনের খবর শুনে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন আমাদেরকেও সেখানে থাকার জন্য বলেছেন।
 
উল্লেখ্য, এর আগেও কয়েক দফা ভাঙ্গনের শিকার হয় হরিসভা এলাকা।প্রতিবারই পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ করেছেন। আবারও সেখানে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় হরিসভা,মধ্যশ্রীরামদী ও পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকাটি এখন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।