• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর পাউবো স্টাফ কোয়ার্টার ঝোপঝাড়ে ঘেরা একটি নির্জন এলাকা

প্রকাশ:  ২৪ জুলাই ২০১৯, ১৩:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকায় অবস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টারটি বসবাসের জন্যে মোটেই উপযোগী নয়। এর ভেতরে দিনের বেলায়ই ঢুকতে যে কোনো মানুষের ভয় লাগে। কারণ, বিশাল এলাকার এই স্টাফ কোয়ার্টার একেবারেই একটি নির্জন এলাকা। তার উপর রয়েছে ঝোপঝাড়ে ভরপুর। ঝোপঝাড়ের কারণে ভবনগুলোও ঠিকমতো দেখা যায় না। এলাকার ভেতরে ঢুকে যে কোনো অপরাধী চক্র খুব সহজে লুকিয়ে থাকতে পারবে। অবস্থা দেখে মনে হলো, যেনো কয়েক বছরেও পরিষ্কার করা হয়নি। পুরো এলাকার অবস্থা তো খুব বাজে অবস্থায় আছেই, কোয়ার্টারগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। আর এ অবস্থার জন্যে স্টাফরা দায়ী করলেন চাঁদপুর পাউবো কর্মকর্তাদের। তাদের অভিযোগ, প্রতি বছর এসব কোয়ার্টার এবং এই এলাকা সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার জন্যে লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু একটি টাকাও তারা এই খাতে খরচ করেন না, সব তারা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে খেয়ে ফেলেন।
এসব বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানের সাথে। তিনি বললেন, বিশাল এরিয়া নিয়ে এই স্টাফ কোয়ার্টার। ২০ একর জায়গার উপর হবে এটি। আমরা এটির পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকই করি। কিন্তু এখানকার মাটি এতোটাই উর্বর যে, পরিষ্কার করে একমাসও ঠিক রাখা যায় না। আবার লতাপাতায় ভরে যায়। আমার কোয়ার্টারের আশপাশের অবস্থাও তাই।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই রোববার ষোলঘরস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টারে নিজ বাসায় খুন হন স্কুল শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তী। যে বাসায় তিনি খুন হন সে বাসাটি স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার সর্ব পূর্বদিকে। বাসাটি চার তলার। জয়ন্তী চক্রবর্তীরা থাকতেন এই ভবনের দ্বিতীয় তলার পূর্বদিকের ফ্ল্যাটে। তারা ছাড়া আর কোনো ফ্যামিলি এ ভবনে থাকেন না। সামনের চার তলা ভবনটিও পুরো খালি। ঘটনার পরদিন সোমবার ওই স্টাফ কোয়ার্টারে গিয়ে দেখা গেলো পুরো এলাকার এই দুরবস্থা। অথচ পুরো এলাকাটিকে পরিচর্যা করে ফলফলাদির গাছ, শাক সবজি ও ফুলের বাগান করলে খুবই সুন্দর এবং দেখার মতো পরিবেশ হতো। আবার বিনোদনেরও চমৎকার একটি স্পট হতো। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এখানে বিরাজ করছে ভূতুড়ে পরিবেশ।