এগিয়ে চলছে জীবনদীপের কার্যক্রম ॥ প্রতিদিনই রক্ত পাচ্ছে কেউ না কেউ


এগিয়ে চলছে মানব উন্নয়ন সেবামূলক সংস্থা ‘জীবনদীপের’ সেবামূলক কার্যক্রম। প্রতিদিনই জীবনদীপের সহায়তায় রক্ত পাচ্ছে কেউ না কেউ। রক্ত সংগ্রহ করে দিতে পারাটাই যেনো এখন নেশায় পরিণত হয়েছে জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদারের। যে কেউ এসে রক্তের কথা বললেই তিনি ব্যস্ত হয়ে ওঠেন তাকে রক্ত সংগ্রহ করে দিতে। রক্ত সংগ্রহ করে দিতে পারাটাই যেনো তার কাছে আত্মতৃপ্তির। গতকাল রোববার বিকেলে অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদারের কাছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরাক্কাবাদ এলাকার একজন আসেন রক্ত শূন্যতাজনিত কারণে অসুস্থ এক নারীর জন্যে ‘এ’ পজেটিভ এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। তিনি তাৎক্ষণিক ব্যস্ত হয়ে ওঠেন রক্ত সংগ্রহ করে দেয়ার জন্যে। এদিক-সেদিক ফোনে যোগাযোগ করতে থাকেন জীবনদীপের স্বেচ্ছায় রক্ত দাতাদের সাথে। সন্ধ্যায় রক্ত দেয়ার উদ্দেশ্যে তিনি শহরের হাজী মহসীন রোডস্থ মিডল্যান্ড হাসপাতালে হাজির হন পুরাণবাজারের বাসিন্দা কলেজ ছাত্র শুভ সাহাকে নিয়ে। ততক্ষণে হাজির হয়ে যায় রক্ত গ্রহীতা শেফালী হকের ( ৪০) ছেলে ফরাক্কাবাদ কলেজের ছাত্র ইমরানুল হক। সে রাজী হয় রক্ত শূন্যতায় আক্রান্ত তার মা শেফালী হককে রক্ত দিতে। ছেলের রক্ত পাওয়ায় আর রক্ত দিতে হয়নি জীবনদীপের স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে। তবে রক্ত না দেয়া পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হয়। রক্ত সংগ্রহকালীন সময় উপস্থিত ছিলেন জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাতা অ্যডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, চাঁদপুর কালেক্টরেট সরকারি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মিজানুর রহমান, জীবনদীপের উপদেষ্টা বিমল চৌধুরী, সৃদুল কান্তি দাস, সদস্য মোঃ ইসমাইল খান বাদল, গৌতম রায় চৌধুরী প্রমুখ। রক্ত সংগ্রহে সহযোগিতা করেন মিডল্যান্ড হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ বিশ^জিৎ কুমার বাপ্পী।