চক্ষু হাসপাতাল থেকে ডায়াবেটিক হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কটি যেনো মরণ ফাঁদ ॥ স্পীড ব্রেকার দেয়ার দাবি


চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডের পর চক্ষু হাসপাতালের সামনে থেকে ডায়াবেটিক হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কটি যেনো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ দুটি হাসপাতালের মাঝখানে রয়েছে বেলভিউ হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল। এ হাসপাতাল তিনটিতে রোগী যেতে চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়ক পার হতে হয়। এদিকে অত্যন্ত ব্যস্ততম এ সড়কটি পার হতে নিয়ে মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে । দেখা গেছে যে, হাসপাতালগুলোতে যেতে মানুষ যখন ব্যস্ততম সড়কটির উত্তর পাশ থেকে দক্ষিণ পাশে যায়, তখনই বেপরোয়া গাড়ির আঘাতে দুর্ঘটনার শিকার হয় । এখানে সড়কে কোনো স্পীড ব্রেকার না থাকায় গাড়ির গতি থাকে বেশ বেপরোয়া, আর তখনই দুর্ঘটনা ঘটে ।
মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, বেলভিউ হাসপাতাল এবং চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালটি একটার পর একটা পাশাপাশিই অবস্থিত। এ তিনটি হাসপাতালই চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের দক্ষিণ পাশ লাগোয়া। হাসপাতাল তিনটিতে প্রতিদিন শত শত রোগী আসে। আবার রোগীদের সাথে স্বজনরাও থাকেন। হাসপাতালে যেতে এবং হাসপাতাল থেকে গন্তব্যে ফিরে যেতে মানুষ যখন ব্যস্ততম সড়কটি পার হয়, তখনই বেপরোয়া গতির গাড়ির আঘাতে দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনার শিকার ভুক্তভোগী অনেকেই এ বিষয়টি জানিয়েছেন। কিছুদিন আগে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেলের মা বেলভিউ হাসপাতালে যেতে নিলে তিনি গাড়ির আঘাতে মারাত্মক আহত হন। তাঁর মাথা ফেটে যায় এবং চারটি সেলাই লেগেছে বলে জানা গেছে। এমনিভাবে ভুক্তভোগী আরো অনেকেই এমন দুর্ঘটনার কথা বলেছেন । জনসাধারণ সড়কের এই অংশে দুটি স্পীড ব্রেকার দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। তাহলে হয়ত দুর্ঘটনা অনেকটা কমে যাবে।
এদিকে এ স্থানে স্পীড ব্রেকার দেয়ার জন্যে চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতির পক্ষ থেকে চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগকে একাধিকবার অফিসিয়ালভাবে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে সওজ, চাঁদপুর এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।