চাঁদপুর পৌরসভার বাজেট পর্যালোচনায় এবার নূতন করে দু’টি খাত সংযোজন হয়েছে
গোপালগঞ্জের সাথে চাঁদপুরকেও বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী


চাঁদপুর পৌরসভার ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা হয় ২৭ জুন বৃহস্পতিবার। পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ এ বাজেট ঘোষণা করেন। এবারের বাজেট পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বাজেটে এবার নূতন দু’টি খাত সংযোজন করা হয়েছে। এ খাত দু’টি হচ্ছে-অতিগুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন-২ এবং চাঁদপুর জেলা উন্নয়ন প্রকল্প। এ দু’টি খাতে ১০ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে।
চাঁদপুর পৌরসভার ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে গত অর্থবছরের চেয়ে ১২ কোটি ৬৩ লাখ ২৪ হাজার ৯০ টাকা বর্ধিত করা হয়েছে। এবারের বাজেট ছিলো ৯১ কোটি ৬৪ লাখ ২৪ হাজার ২শ’ ৩২ টাকা। আর বিগত অর্থাৎ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাজেট ছিলো ৭৯ কোটি ১২ লাখ ১শ’ ৪২ কোটি টাকা। এ বছর যে সাড়ে ১২ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে, তার পুরোটাই উন্নয়ন খাতে আয় দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ উন্নয়ন কর্মকা-ের জন্যে সরকার এবং ইউজিআইআইপি থেকে প্রাপ্ত অনুদান বা বরাদ্দ। রাজস্ব তথা নিজস্ব আয় দেখানো হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭শ’ ৬৭ টাকা। যা গত অর্থবছর থেকে মাত্র ১৩ লাখ টাকা বেশি।
এদিকে উন্নয়ন খাতে যে বাজেট ধরা হয়েছে সেখানে এবার নূতন দু’টি খাত যোগ হয়েছে। সে দু’টি হচ্ছে, অতি গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন-২ এবং চাঁদপুর জেলা উন্নয়ন প্রকল্প। উভয় খাতেই ৫ কোটি করে ১০ কোটি টাকা উন্নয়ন বাজেট ধরা হয়েছে। জেলা উন্নয়ন প্রকল্প বাজেট সম্পর্কে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জসহ দেশের চারটি জেলাকে তাঁর বিশেষ বিবেচনায় জেলা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এনেছেন। এ চারটির মধ্যে চাঁদপুরও রয়েছে। গোপালগঞ্জের সাথে চাঁদপুরকেও বিশেষ উন্নয়ন খাতে অন্তর্ভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চাঁদপুর জেলাবাসী কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
এই জেলা উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে চাঁদপুর পৌরসভার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ মুশিউর রহমান চাঁদপুর কণ্ঠ জানান, এটি চাঁদপুর জেলার জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ একটি উন্নয়ন প্রকল্প। এটি চাঁদপুরসহ চারটি জেলায় হচ্ছে। এ খাতে উন্নয়ন কর্মকা- করতে গিয়ে ধরাবাঁধা কোনো প্রকল্প নেই। পৌর পরিষদ যে যে সেক্টরে উন্নয়ন করা চিন্তা করবে সে সেক্টরেই করতে পারবে। যেমন শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা, খাল খনন, এসবি খালের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, লেকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত কোনো রাস্তাঘাট ইত্যাদি। আর এটি শুধু চাঁদপুর পৌরসভাই নয়, চাঁদপুর জেলার সাতটি পৌরসভাই এ উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। এ খাতে বর্তমানে শুরুর দিকে চাঁদপুর পৌরসভা অনুমাননির্ভর ৫ কোটি টাকা আয় ধরলেও এটি আরো বহুগুণ বাড়তে পারে। আর এটি শুধু আগামী অর্থবছরের জন্যেই নয়, শেখ হাসিনার সরকার যতদিন থাকবে ততদিন এ প্রকল্প বাজেট থাকবে বলে জানান পৌরসভার এ কর্মকর্তা।
চাঁদপুর পৌরসভার এবারের বাজেটে নতুন করে নেয়া আরেকটি খাত-অতি গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন-২ প্রসঙ্গে ওই পৌর কর্মকর্তা বলেন, এটি আমাদের চলমান উন্নয়ন কাজ। যেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো রাস্তা অথবা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ইত্যাদি। ইতিমধ্যে এ খাতে কয়েকটি রাস্তার উন্নয়ন কাজ টেন্ডারও হয়ে গেছে।
মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বাজেট ঘোষণাকালে উন্নয়ন বাজেট ৭০ ভাগ অর্জিত হয় বলে জানান। আর রাজস্ব বাজেট ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ অর্জিত হয়।