• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

দরপত্র বিক্রির ৪৮ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ে নতুন রেকর্ড

ফরিদগঞ্জে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ২৮টি ব্রীজ নির্মাণ কাজের দরপত্র বিক্রি সম্পন্ন

প্রকাশ:  ২৫ জুন ২০১৯, ১২:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় খালের উপর ২৮টি ব্রীজ নির্মাণের জন্যে এবার দরপত্র বিক্রিতে গত বছর থেকে প্রায় দ্বিগুণের বেশি রাজস্ব আয় করেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। এবার কোনো সিন্ডিকেট কিংবা রাজনৈতিকভাবে কোনো চাপ না থাকার সুবাদে উন্মুক্ত পরিবেশে দরপত্র বিক্রি ও ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে।
কোনো ঠিকাদারের পক্ষ থেকে দরপত্র ক্রয় নিয়ে কোনো বাধা কিংবা হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফরিদগঞ্জে দরপত্র বিক্রিতে ৪৮ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে উপজেলা পিআইও অফিস। দরপত্র বিক্রিতে সরকারের এমন রাজস্ব আয় যা ইতিপূর্বে দেখা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করে জানায়, এই  ব্রীজ নির্মাণের জন্যে দরপত্র বিক্রিতে উন্মুক্ত রাখার পক্ষে এলাকার এমপি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছর উপজেলার খালের উপর ২৩টি কালভার্ট/সেতু নির্মাণের জন্যে দরপত্র বিক্রিতে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এবার ২৮টি কালভার্ট / সেতু নির্মাণের জন্যে দরপত্র বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪৮ লাখ টাকা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার সেতু/কালভার্ট নির্মাণের আওতায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছোট বড় ২৮টি সেতু/ কালভার্ট নির্মাণের জন্যে সরকারিভাবে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ১৮৬ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৮টি সেতু/ কালভার্ট নির্মাণের জন্যে দরপত্র ১৬৫ সেট করা হয়েছে। অনেক ঠিকাদার পুরো প্যাকেজ অর্থাৎ ২৮টি সেতু নির্মাণের জন্যে প্রতিটি সেট ৩৩ হাজার ৫শ’ টাকায় দরপত্র ক্রয় করেছেন। আবার কেউ কেউ পুরো প্যাকেজ না ক্রয় করলেও পছন্দের সেতু/ কালভার্ট নির্মাণের জন্যে দরপত্র ক্রয় করেছেন। ২০ লাখের কাজের জন্যে প্রতি দরপত্র মূল্য নির্ধারণ ছিল ১ হাজার টাকা। ২০ লাখের  উপরে কাজের দরপত্র মূল্য নির্ধারিত ছিল ১ হাজার ৫শ টাকা। দৈর্ঘ্য হিসেবে  ব্রীজ নির্মাণে কোনোটিতে সর্বনি¤œ ১৩ লাখ আবার কোনোটিতে সর্বোচ্চ ২৫/ ২৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রোববার ছিল দরপত্র দাখিলের শেষদিন। মোট কয়টি দরপত্র দাখিল হয়েছে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি। সকল দরপত্র বস্তাবন্দী করে রাখা হয়েছে। এসব দরপত্র গণনা ও বাছাই নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানে দরপত্র ক্রয় করতে কোনো বাধা না থাকায় ফরিদগঞ্জসহ চাঁদপুর জেলার প্রায় সকল উপজেলা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকেও ঠিকাদারগণ এসে দরপত্র ক্রয় করে নিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে ।  
বিগতদিনে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের দরপত্র বিক্রি করে বিরাট অংকের রাজস্ব আয় ফরিদগঞ্জে এই প্রথম । এ নিয়ে অনেকেই বলছে, সরকারের রাজস্ব আয় হলে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজে লাগে। কিন্তু তা না করে গোপন সিন্ডিকেট কিংবা ক্ষমতার দাপটে টেন্ডার কাজ  গোপনে ভাগাভাগি হলে সরকার যেমন তার প্রাপ্য রাজস্ব হারায় তেমনি টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে রাখা নিয়ে অসাধুদের অপতৎপরতার কারণে সরকারি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
২৮টি সেতু/কালভার্ট নির্মাণের জন্যে দরপত্র বিক্রিতে অবিশ^াস্য রাজস্ব আয় দেখে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও অনেকেই খুশি।
এ নিয়ে উপজেলা পিআইও অফিস সহকারী মিজানুর রহমান বলেন, সম্পূর্ণ উন্মুক্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে দরপত্র বিক্রি করা হয়েছে। দরপত্র বিক্রির পক্ষে বিপক্ষে কোনো বাধা কিংবা কোনো পক্ষ থেকে কোনো রকম চাপ ছিল না।
উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আওরংগজেব এ প্রতিনিধিকে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৮টি ছোট বড় ব্রীজ নির্মাণের জন্যে সরকারিভাবে ৫ কোটি ৩০ রাখ ৮৭ হাজার ১৮৬ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই কাজের জন্যে দরপত্র বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব পাওয়া গেছে ৪৮ লাখ টাকা। সবার সহযোগিতায় কোনো চাপ কিংবা বাধাবিহীন সম্পূর্ণ উন্মুক্তভাবে দরপত্র বিক্রি করে সরকারের এই রাজস্ব আয় করতে পেরে আমরা সবাই সত্যিই আনন্দিত।