• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

মহল্লার ভেতরে ছয় মাসেও শেষ হয়নি প্রশাখা ড্রেন নির্মাণ কাজ!

প্রকাশ:  ২৪ জুন ২০১৯, ০৮:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলা এলাকার কু-ুবাড়ি মহল্লাবাসীর ড্রেনেজ সমস্যা সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ৬ মাস পূর্বে ড্রেন নির্মাণ শুরু করলেও আজও কাজ শেষ করেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এ ড্রেনটি মূল বা শাখা ড্রেন নয়, এটি প্রশাখা ড্রেন। আর যে স্থান দিয়ে নির্মাণ হবে এ ছোট ড্রেনটি, সে রাস্তাটি অত্যন্ত সরু এবং মহল্লাবাসীর  চলাচলের একমাত্র রাস্তা। অথচ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এ বিষয়টি জেনেও এ কাজটি যে দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন এ ধরনের কোনো চিন্তাই তার মাঝে দেখা যাচ্ছে না। মাঝপথে এসে কাজটি ফেলে রাখায় মহল্লার লোকজনের চলাচল করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। অনেকে দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন।
জানা যায়, গুয়াখোলা এলাকার কু-ুবাড়ী মহল্লাবাসীর ব্যবহৃত পানি, ময়লা আবর্জনা এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাদের খুব দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যে কারণে  তারা দীর্ঘদিনের এ সমস্যাটি সমাধানে স্থানীয় কাউন্সিলরের শরণাপন্ন হন। উক্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছির চোকদার বিষয়টি  পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদের কাছে উপস্থাপন করলে তিনি পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগকে সমস্যাটি সমাধানের জন্যে অর্থাৎ দ্রুত ড্রেন নির্মাণ করার জন্যে নির্দেশ দেন। মেয়রের নির্দেশ মোতাবেক  প্রকৌশল বিভাগ পৌরসভার তালিকাভুক্ত ঠিকাদার আলম হোসেনকে এ কাজটি দেয়।
কাজটি পেয়ে ঠিকাদার মোঃ আলম হোসেন কাজটি শুরু করেন। কাজ শুরু করার পর ৬ মাস শেষ হলেও আজ পর্যন্ত কাজটি শেষ করতে পারেননি। ঠিকাদার এ পর্যন্ত সেখানে শুধুমাত্র ড্রেন করে  পুরো ড্রেনের উপর স্লাব না দিয়ে মাঝে মাঝে মাত্র কয়েকটি স্লাব দিয়ে রেখেছেন। এমনকি কোথাও কোথাও স্লাবের পরিবর্তে তিনি কাঠ ও টিন দিয়ে রাখেন। যে কারণে এলাকার মানুষ পথ চলতে গিয়ে খুবই ভীত সন্ত্রস্ত থাকেন। আর এটি মহল্লাবাসীর  চলাচলের একমাত্র পথ হওয়ায় পথ চলতে গিয়ে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। রাতের বেলায় চলাচল করতে গিয়ে ২ জন ব্যক্তি পা ভেঙ্গে এখন বিছানায়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এ বিষয়গুলো জেনেও তিনি যেনো এ বিষয়ে একেবারেই উদাসীন। অথচ তার সামান্য কয়েকটি স্লাবের জন্যে কোনো ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটতে পারে। আর তা জেনে বুঝে কাজটি সম্পন্ন করা বা সমাপ্ত না করার বিষয়ে ঠিকাদারের উদাসীনতা না অবহেলা তা শুধু পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ তদারকি না করে নীরবতা পালন করায় মহল্লাবাসী ক্ষুুব্ধ।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মোঃ আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ৬ মাস নয়, মাস দুয়েক আগে কাজটি শুরু করেছি। আমার মা স্ট্রোক করায় তাকে নিয়ে দেড় মাস ঢাকায় হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। যে কারণে কাজটি শেষ করতে পারি নি। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করে পৌর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেবো। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দুর্ঘটনার কথা আমি শুনেছি, তবে এজন্য আমি অনুতপ্ত।
এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কাজটির বিল পৌর পরিষদের রাজস্ব তহবিল থেকে ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হবে। হয়তো এজন্যে তিনি ঢিলেঢালাভাবে কাজটি করছেন। তবে  সামান্য এ কাজটি এতোদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে এটি আমার জানা নেই। আর মহল্লার লোক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এ বিষয়টিও আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে কাজটি শেষ করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছির চোকদার বলেন, ঠিকাদারকে বার বার বলেও কোনো  সমাধান পাচ্ছি না। তাই তাকে গতকাল খোঁজ করে এনে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন অল্প ক’দিনের মধ্যে কাজটি শেষ করবেন।

 

সর্বাধিক পঠিত