• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে ৪ মাসে ১৫৫ অগ্নিদুর্ঘটনা

৯৫ ভাগ অগ্নিকান্ডের কারণ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট : ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশ:  ১৬ মে ২০১৯, ১৪:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৪ মাসে ছোট বড় মিলিয়ে ১৫৫টি অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এ সকল অগ্নিকা-ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৩৬ হাজার টাকার। আর অগ্নিকা-গুলোর ৯৫ ভাগ ঘটেছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে। এমন তথ্য পাওয়া গেছে জেলা ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে।
এই অফিসসূত্রে জানা যায়, জেলার ৮টি উপজেলায় জানুয়ারি মাসে মোট ২৭টি অগ্নিকা- ঘটেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ৪৩টি অগ্নিকা- ঘটেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। মার্চ মাসে ঘটেছে ৪১টি অগ্নিকা-। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৪৬ লাখ ১১ হাজার টাকা। এপ্রিল মাসে ঘটেছে ৪৪টি অগ্নিকা-। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের অফিসার মোঃ মোবারক হোসেন জানান, বর্তমানে উল্লেখযোগ্য দুর্ঘটনার নাম অগ্নিকা-। এটি এখন মহামারী আকারে ধারণ করছে। আগের তুলনায় প্রতিনিয়ত অগ্নিকা-ের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে জনগণের অসচেতনতাকেই দায়ী করছেন।
তিনি আরো বলেন, জেলায় গত ৪ মাসে যে পরিমাণ অগ্নিকা- ঘটেছে তার ৯৫ ভাগ ঘটেছে শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে। প্রতিটি অগ্নিকা-ের যেখানে আমাদের সরাসরি উপস্থিতি রয়েছে সে সকল অগ্নিকা-ের প্রাথমিক তদন্তে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের বিষয়টি বেশি উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, যেমন একটি  বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে কয়টি বাল্ব, কয়টি ফ্যান, ফ্রিজ, এসি ইত্যাদি চালানো যাবে, সে বিষয়টি আমরা বিবেচনা না করে নিজেদের ইচ্ছেমত যত খুশি ইলেক্ট্রনিক পণ্য ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা ওই তারটি কতটুকু লোড নিতে পারবে সে বিষয়টি কেউ বিবেচনা না করায় অনেক সময় অতিরিক্ত লোডের কারণে অগ্নিকা- ঘটে। আবার বাজারে নি¤œমানের ইলেক্ট্রিক পণ্য বের হয়েছে, যা আমাদের দেশের জনগণ সস্তায় পেয়ে ব্যবহার করছে। নি¤œমানের এই ইলেক্ট্রিক পণ্য ব্যবহারের ফলেও অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও অনেক পুরানো বাসা বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাজনিত কারণে এই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এক কথায় বর্তমানে যতো অগ্নিকা- ঘটছে তার অধিকাংশই ঘটছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম ইকবাল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ কোন্ ভিত্তিতে বলছে অগ্নিকা-গুলো বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে হচ্ছে এটি আমার বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, মন চাইলেই বা কারো কাছ থেকে কিছু শুনেই যে কোনো বিষয়ে কথা বলা যায় না। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বিষয়টি কী জিনিস তা অনেকেই জানে না। কোনো বাসায় বিদ্যুতের শট সার্কিট হলে প্রথমেই তার ঘরের ভিতরের প্রোটেকশন সুইচটি বন্ধ হয়ে যাবে। এটিতে কাভার না হলে মেইন সুইচ বন্ধ হবে বা মেইন সুইচটি বন্ধ করতে হবে। এটিতেও কাভার না হলে বিদ্যুৎ লাইনের মেইন তার জ্বলে যাবে। এই তিনটি প্রোটেকশন শেষ হলে তারপর বিদ্যুতের শট সার্কিট হয়ে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটবে, এর আগে নয়। আর এটি ঘটতে যে সময় লাগবে তাতে সতর্ক হওয়ার সময়ও থাকবে।

 

সর্বাধিক পঠিত