• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

ব্রিজ নির্মাণের স্থান পরিদর্শনে ইউএনও

প্রকাশ:  ১৪ মে ২০১৯, ১৩:৩৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

সোমবার কচুয়া পৌরসভার কাশিমপুর সড়কের পলাশপুরে অবস্থিত হারুন এভিনিউ মসজিদ এবং তালুকদার বাড়ির সামনের প্রবহমান খালের উপর সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পাকা ব্রিজ নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুমন দে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আশেকুর রহমান, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মউল্লাহ, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার তানিয়া বেগমসহ সংশিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
পরিদর্শনকালে পৌরসভার জনৈক আলমগীর হোসেন মৃধা প্রবহমান খালের উপর ব্যক্তি উদ্যোগে ব্রিজ নির্মাণের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পৌরসভার কড়ইশ নিবাসী আলমগীর হোসেন মৃধাকে অবৈধ এ ব্রিজটির মধ্যখানের ভার্টিকেল ওয়াল ভেঙ্গে ব্রীজ নির্মাণের জন্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি নেয়ার আদেশ প্রদান করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবসরপ্রাপ্ত এক প্রকৌশলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী শহর-উপশহরের আশপাশে প্রবহমান খালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ব্রিজ নির্মাণ না করার আদেশ রয়েছে।
প্রবহমান এ সরকারি খালের ২ কিলোমিটারের মধ্যে গত ১ বছরে ব্যক্তি উদ্যোগে ৬টি অবৈধ ব্রিজ নির্মিত হয়েছে। এভাবে ব্রিজ নির্মাণের ফলে মৎস্য চাষ, মাছ উৎপাদন, পানির প্রবাহ, বর্জ্য নিষ্কাশনের সকল পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এভাবে ব্রিজ নির্মাণ হতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে প্রবহমান এ খালটির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।
স্থানীয়রা জানান, এই খালে সরকারের বিউটিফিকেশন লেক প্রকল্প হওয়ার কথা থাকলেও যে হারে ব্যক্তি মালিকানাধীণ ব্রিজ নির্মাণ এবং খাল দখল চলছে তাতে করে একদিন এ খালটির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রবহমান এ খালটি সরাসরি ডাকাতিয়া নদীর সাথে সংযুক্ত। ফলে এ খালের উপর অবৈধভাবে ব্যক্তি উদ্যোগে ব্রিজটি নির্মিত হলে পানি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে এবং সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার কর্তৃত্বের ভূমিকাকে পুঁজি করে একটি সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে প্রবহমান খাল দখল করে ব্রিজ নির্মাণ করে  চলছে।

 

 

সর্বাধিক পঠিত