• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত ইরি ধান ॥ হতাশ কৃষক

প্রকাশ:  ১২ এপ্রিল ২০১৯, ১১:২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 দিনে গরম, রাতে ঠা-া, কুয়াশাচ্ছন্নতা, অতিবৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া ও অতিরিক্ত ইউরিয়া সার প্রয়োগের কারণে কচুয়ায় ইরি ধান ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়েছে নেক ব্লাস্ট ও লিফ ব্লাস্ট রোগে। এ বছর কচুয়ায় ১২ হাজার ৭শ’ ৫ হেক্টর জমিতে ইরি ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এমন কোনো ধানের মাঠ নেই যে মাঠে কোনো না কোনো জমির ধান নেক ব্লাস্ট ও লিফ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়নি। এ রোগ দিনের পর দিন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ বছর ইরি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলনের কারণে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠলেও সপ্তাহ খানেক পূর্ব থেকে উপরোক্ত রোগ ছড়িয়ে পড়া শুরু হলে কৃষকের মুখের হাসি ম্লান হয়ে যায়। উপজেলার ৩৭টি কৃষি ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠে ময়দানে ছুটে গিয়ে কৃষকদেরকে উপরোক্ত রোগ হতে ধান রক্ষায় প্রয়োজনীয় (সঠিক) কীটনাশক ওষধ প্রয়োগের জন্যে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে কৃষি বিভাগ দাবি করলেও অনেক ব্লকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না বলে কৃষকরা জানায়।
ধানে বাদামী রং-এর দাগ পড়ে, যা নেক ব্লাস্ট রোগ বলে পরিচিত। নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এক পর্যায়ে ধানের পাতা ঝলসে যাওয়াসহ ধান সাদা হয়ে চিটা হয়ে যায়। পাতা ঝলসে যাওয়া ও ধান চিটা হয়ে যাওয়া এ রোগকে কৃষি বিভাগের লোকজন লিফ ব্লাস্ট রোগ বলে দাবি করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, যেসব কারণে নেক ব্লাস্ট রোগ হয়, ওই একই কারণে লিফ ব্লাস্ট রোগেরও সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মতে, ধানের জমিতে রোগ হোক বা না হোক শীষ বের হওয়ার আগেই প্রতি ৫ শতাংশ জমিতে ট্রুপার বা নাটিভো (৭৫ ডব্লিউজি) ৮ গ্রাম অথবা (ট্রাইসাইক্লাজল) গ্রুপের ফিলিয়া ১০ লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে ৫ থেকে ৭ দিন অন্তত দু বার প্রয়োগ করতে হবে।