• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় নির্ধারিত স্থানের এক কিলোমিটার দূরে ব্রীজ নির্মাণের পাঁয়তারায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

প্রকাশ:  ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়ার বিতারা গ্রামে নতুন ব্রীজ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত স্থানে ব্রীজ নির্মাণ না করে খেয়াল-খুশিমতো অন্যস্থানে নির্মাণ করায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুছ মুন্সী মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসকে ম্যানেজ করে এক জায়গার ব্রীজ অন্য জায়গায় নির্মাণের পাঁয়তারা করছেন।
জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুযায়ী গ্রামীণ রাস্তায় কম-বেশি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু/কালভার্ট নির্মাণের আওতায় কচুয়ার বিতারা গ্রামের বিতারা ডাক্তার বাড়ি-ইউনুছ মেম্বারের বাড়ির পাশে খালের উপর সেতু নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন হয়। যার স্মারক নং-৫১.০১.১৩৫৮.০০০.১৪.০০১.১৯-৪৫। তারিখ-২৮/০১/২০১৯ খ্রিঃ। যার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫শ’ ৩০ টাকা।
ব্রীজটির নির্মাণ কাজ অনুমোদনের পর গত ৪-৫ দিন ধরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মোঃ সুলতান আহমেদ ওইস্থানে নতুন ব্রীজ নির্মাণের জন্যে বেজ কাটাসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু করেন। কিন্তু স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, ওই ব্রীজটি বিতারা ডাক্তার বাড়ি-ইউনুছ মেম্বারের বাড়ির পাশে খালের উপর নির্মিত না হয়ে একই গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তর দিকে হোসেন মিয়া প্রধানের বাড়ির সামনে খালের উপর নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অলিউল্যাহ, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম জিল্লু, মিজানুর রহমান ও যুবলীগ নেতা কাউছার আলম রুবেল জানান, ব্রীজটি যেখানে সরকারিভাবে অনুমোদন হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুছ মুন্সি সেটি নির্ধারিত স্থানে না করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অন্যত্র নির্মাণের পাঁয়তারা করছেন। তাদের দাবি, সরকারি সিডিউল অনুসারে যেখানে ব্রীজ হওয়ার কথা সেখানেই ব্রীজ নির্মাণ করা হোক।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা আফরোজ বলেন, যে স্থানে ব্রীজ নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে, সে স্থান ব্যতীত অন্যস্থানে ব্রীজ নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। ব্রীজ নির্মাণে কোনো অনিয়ম হলে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সর্বাধিক পঠিত