• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মোহন বাঁশি স্মৃতি সংসদের ৩ দিনব্যাপী উৎসবের আজ শেষদিন

যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করার অপরাধে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত : নাছির উদ্দিন আহম্মেদ

প্রকাশ:  ১৮ মার্চ ২০১৯, ১১:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহন বাঁশি স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী উৎসবের গতকাল  ১৭ মার্চ ছিল দ্বিতীয় দিন। এ দিন সান্ধ্যকালীন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ঘুমন্ত জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। তাঁর নেতৃত্বে পরাধীনতার হাত থেকে বাঙালি জাতি মুক্তি পায়, আমরা লাভ করি স্বাধীন বাংলাদেশ। তিনি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি মাত্র সাড়ে ৩ বছরের শাসন ব্যবস্থায় সাম্প্রদায়িকতাকে কবর দিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশকে যখন উন্নয়নের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাঁকে হত্যার মধ্য দিয়ে মতিউর রহমান নিজামীসহ যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল, আমার মা-বোনদের ইজ্জতহানি করেছিল, তাদেরকে জিয়াউর রহমান পুনর্বাসিত করে এদেশে আবার সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করেছিলেন। এ সকল যুদ্ধাপরাধীকে পুনর্বাসিত করার অপরাধে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত। তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ, বর্তমান সময়ে কেউ আর না খেয়ে থাকে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদেরকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বঙ্গবন্ধুর সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। তিনি পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করে বলেন, পাকিস্তান নামক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আজ ধংসের পথে। উন্নয়নের দিক থেকে পাকিস্তান আজ আমাদের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তারা আমাদের  উপর নির্মমভাবে যে অন্যায় অত্যাচার করেছে তাদের পতন অনিবার্য।  
    ‘চিরঞ্জীব ৭১’ চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক উৎসবের আহ্বায়ক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাতের সভাপ্রধানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুদ্ধকালীন সময়ের বিএলএফ কমান্ডার হানিফ পাটওয়ারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুরের সভাপতি তপন সরকার, রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, সংবর্ধিত অতিথি জসিম মেহেদী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্বরলিপি নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি এমআর ইসলাম বাবু । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। আজ ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষদিন। এদিন সান্ধ্যলীন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্বাহত মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে জ্ঞান জিজ্ঞাসা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক ও রাত ৮টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
    

 

সর্বাধিক পঠিত