• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরের বাবুরহাটে বিসিক শিল্পনগরীর ময়লা পানিতে দূষিত হচ্ছে সিএনবি খাল

প্রকাশ:  ১৬ মার্চ ২০১৯, ১৯:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর উপজেলায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ হয়ে ডাকাতিয়ার দিকে বয়ে যাওয়া সিএনবি খালটি বাবুরহাটে বিসিক শিল্পনগরীর বিষাক্ত কেমিক্যাল ও ময়লা আবর্জনা মিশ্রিত পানিতে দূষিত হচ্ছে দীর্ঘদিন।পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করে রাখায় এমন অনৈতিকতারসহিত পরিবেশ দূষণের এ বিষয়টি যেন দেখেও কেউ দেখছে না এমনটি জানায় স্থানীয়রা।জানা যায়,চাঁদপুরের বাবুরহাটের এই বিসিক শিল্পনগরী ১৯৮৬-৮৭ সালে জমির অধিগ্রহন হয়।পরে ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত মোট ১০ একর জায়গা জুড়ে শিল্পনগরীর স্থাপনকাল করা হয়। এর মধ্যে মোট ৩৫ টি শিল্প ইউনিটে কেমিক্যাল ও এ্যালাইড শিল্প ইউনিট মোট ৭ টি।আর এই কেমিক্যাল ও এ্যালাইডে ব্যবহৃত হয় সব রকম বর্জ্য ও নানান ক্ষতিকর বিষাক্ত কেমিক্যালযুক্ত রং মিশ্রিত পানি।যা কাজ শেষে কোন রকমের শোধন ছাড়াই ড্রেনের মাধ্যমে পতিত হচ্ছে বিসিক শিল্প নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই সিএনবি খালে।এতে করে এমন ময়লা ও বিষাক্ত পানি প্রতিনিয়ত চাঁদপুর সওজ বিভাগের এই সিএনবি খালে পতিত হওয়ায় দূষিত হচ্ছে খালের বিশুদ্ধ পানি।গতকাল ১৫ মার্চ শুক্রবার স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে আরো জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে বিসিক শিল্পনগরীর এই বিষাক্ত পানি খালের মাধ্যমে ডাকাতিয়া নদীতে যাওয়া-আসা করছে। ফলে খাল ও নদী তীরবর্তী মানুষজন এই বিষাক্ত নোংরা পানি ব্যবহার করে চরম রোগাক্রান্তে ভোগান্তি ও বিপর্যয়ের সম্মুখিন হচ্ছে।দৈনন্দিন জিবন-যাপনে অনেকেই এই খালের এমন দূষিত ও বিষাক্ত পানির কথা না জেনে ব্যবহার করছেন।আর এই পানি এমন ব্যবহারের ফলে সাধারণ মানুষ চুলকানি,গিটি প্যাচরা,ডায়রিয়া,কলেরা সহ পানি বাহিত নানান মহামারী রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।এ বিষয়ে এখনি পদক্ষেপ না নিলে যেকোন সময় আরো মারাত্মক নানান ক্ষতিকর রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রভাব দেখা দিতে পারে।এমনকি মানুষের মধ্যে মহামারী আকারে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হতে পারে।এ ব্যপারে বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান,বিসিক থেকে ড্রেন ব্যবস্থার মাধ্যমে খালে যে পানি পরে তাতে তেমন ক্ষতিকর কিছু নেই।থাকলে সামান্য রং বা অন্য কিছু থাকতে পারে।তবে এটা শরীরের জন্য তেমন কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।তিনি আরো বলেন,এই বিসিক থেকে খালে যাওয়া পানি যদি এমনি ক্ষতিকর বা বিষাক্ত হতো।তাহলে এই পানিতে চলাচল করা অনেক মাছ সহ জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ মরার খবর শুনা যেতো।তাই এমন কিছু যেহেতু হয়নি সেহেতু এটা আর তেমন ক্ষতিকর নয়।এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট কাজী সুমনের সাথে আলাপ হলে তিনি জানান,সত্যি বিষয়টি এতোদিন নজরে আসে নি।এটা মূলত বিসিক শিল্পনগরীর কর্তৃপক্ষের সচেতনতার অভাবেই তারা এভাবে খালের পানি দীর্ঘদিন যাবৎ নষ্ট করছে। তবে কোনমতেই

পানি দূষনের মাধ্যমে পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলা যাবে না।এমনকি খালে যত্রতত্র বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষিত করা যাবে না।আমরা দ্রুতই এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।এদিকে এই সিএনবি খালের পানি দূষিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নজর প্রয়োজন।যেজন্য বাবুরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর এমন ময়লা ও বিষাক্ত পানি ফেলা বন্ধে চাঁদপুরের উন্নয়নের রূপকার পৌর মেয়র সহ এমপি মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন চাঁদপুরের সুধীমহল।সেই সাথে দীর্ঘদিন এই সিএনবি খালে এভাবে বিষাক্ত পানি ফেলার অপরাধে বিসিক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জরিমানা কামনা করছে সুধীমহল।