মতলব দক্ষিণে এক গৃহিণীর রহস্যজনক মৃত্যু

মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের বহরী কাজী বাড়িতে গত ১৩ মার্চ রাতে আমেনা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহিণী গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তবে পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের স্বামী নাজিম উদ্দিন জানান, প্রতিদিনের মতো ওইদিন সন্ধ্যায় আমি বাজার থেকে ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ পাই। অনেক ডাকাডাকি করেও তার কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেখি আমার স্ত্রী আমেনা বেগম ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। তখন আমার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসে। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্যে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
নাজিম উদ্দিন আরো জানান, কয়েক বছর আগে পার্শ¦বর্তী বাড়ির তাফাজ্জল হোসেন আমার স্ত্রী আমেনা বেগমের বড় ভাইয়ের স্ত্রী চার সন্তানের জননী মনিকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দু পরিবারের মধ্যে বাগ্বিত-া চলছিলো। একসময় তারা আমার স্ত্রী আমেনা বেগমের নামে বিভিন্ন সময়ে কুৎসা রটিয়ে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি করে। আর সে থেকেই হয়ত রাগে-ক্ষোভে আমেনা বেগম গলায় ফাঁস দিয়েছে। এ ব্যাপারে উপাদী উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহীদ উল্লাহ প্রধানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসার কথা রয়েছে। থানায় এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের ছেলে নূর আলম ও কবির জানান, আমরা তিন ভাই ঢাকার গাজীপুরে ফার্নিচারের ব্যবসা করে আসছি। তাফাজ্জল মিজিসহ আগের ও পরের সংসারের ছেলে কবির ও নবীর বিভিন্ন সময়ে আমাদের বাসায় গিয়ে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসতো। প্রায় ৭ দিন পূর্বে তারা আমাদের সংসারে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করবে বলে ঢাকার গাজীপুরে আমাদের বাসায় গিয়ে শাসিয়ে আসে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে তাফাজ্জল মিয়াজী এবং তার ছেলে কবির ও নবীরের সাথে বাড়িতে গিয়ে ও মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ এমকেএস ইকবাল হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে হত্যা না আত্মহত্যা বলা যাবে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি।