• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে অবশেষে যাত্রী হয়রানি রোধ হলো ॥ সাইনবোর্ড লাগিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে সিএনজি স্কুটার রাখার নির্দিষ্ট স্থান

পুলিশ সুপার মোঃ জিহাদুল কবিরের প্রতি লঞ্চ যাত্রীদের কৃতজ্ঞতা

প্রকাশ:  ০৪ মার্চ ২০১৯, ১১:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হয়ে আসছিলো। এ বিষয়ে গত কদিন  স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ও অনলাইন পত্রিকাগুলোতে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব সংবাদের প্রেক্ষিতে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম যাত্রী হয়রানির বিষয়টি উপলব্ধি করে তা রোধে উদ্যোগ নেন। তাঁর উদ্যোগ অনুযায়ী চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট এলাকায় একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
    পুলিশ সুপার মোঃ জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম কিছুদিন পূর্বে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। তখন তিনি বলেন, আমি চাঁদপুরের স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে লঞ্চঘাটে যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দেখে উপলব্ধি করেছি। আমি লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহসাই উদ্যোগ গ্রহণ করবো। এ বিষয়ে আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। সভা শেষে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরীর নেতৃত্বে লঞ্চঘাটে কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথমে তিনি সিএনজি স্কুটার ও অটোবাইক চালকদের নিয়ে লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট এলাকায় সচেতনতা সভা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় যাত্রী হয়রানি রোধে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মডেল থানার পুলিশের একটি টিম ঘাটে পালাক্রমে ডিউটি করার ব্যবস্থা করা হয়। গত ৪/৫ দিন পূর্বে পুলিশ সুপারের নির্দেশ মতে টার্মিনাল ঘাট এলাকায় সিএনজি স্কুটার চালকদের সচেতন করে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী সিএনজি স্কুটার দাঁড়ানোর স্থান নির্ধারণ করে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেয়া হয়েছে।
    সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালের সামনে খোলা মাঠে ‘মতলব, ফরিদগঞ্জ, রায়পুর-লক্ষ্মীপুর, রামগঞ্জ-সোনাইমুড়ি, হাজীগঞ্জ, আলগী বাজার ও অন্যান্য’ লিখা সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। এসব সাইনবোর্ড অনুযায়ী সিএনজি স্কুটারগুলো যাত্রীদের অপেক্ষায় নির্দিষ্ট স্থানেই থাকছে। কোনো চালকই এখন আর পন্টুনের ভেতর বা পন্টুন থেকে বের হওয়ার পথে জটলা বেঁধে ডাকাডাকি করছে না। তাছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোবাইকগুলোও নির্দিষ্ট স্থানে থাকার জন্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে রোড ব্রেকার স্থাপন করা হয়েছে।
    চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে গেলে সাধারণ যাত্রীরা জানান, আমরা এখন আর সিএনজি স্কুটার ও অটোবাইক চালকদের দৌরাত্ম্যের শিকার হচ্ছি না। এখন আর লঞ্চ থেকে নেমে কেউ আমাদেরকে গন্তব্যে যাওয়ার জন্যে টানা-হেঁচড়া করছে না। আমরা নির্বিঘেœ লঞ্চ থেকে নেমে যেথায় যাবো সেখানকার গাড়িতেই উঠতে পারছি। এমন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনায় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএমকে আমরা লঞ্চ যাত্রীরা কৃতজ্ঞতা জানাই। এ  শৃঙ্খলা যেনো সবসময় বিরাজ করে সেদিকে পুলিশ প্রশাসন দৃষ্টি দিলেই চলবে।