• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের সচেতন জেলেরা নৌকা ও জাল ডাঙ্গায় তুলে ফেলেছে

প্রকাশ:  ০৪ মার্চ ২০১৯, ১০:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মার্চ-এপ্রিল ২ মাস মাছের অভায়শ্রম বাস্তবায়ন ও জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম-২০১৯ শুরু হয়েছে গত ১ মার্চ শুক্রবার থেকে। ইলিশের পোনা জাটকা সংরক্ষণে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস নদীতে জাল ফেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এর ফলে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী এবং চলভৈরবী হতে লক্ষ্মীপুর জেলার চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকায় সকল প্রকার জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। যার ফলে চাঁদপুর জেলার নিবন্ধিত ৫১ হাজার জেলে তাদের জাল ও নৌকা এ দু’মাসের জন্যে গুটিয়ে ফেলেছে।
    গত ২ দিন চাঁদপুর শহরের লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট এলাকার টিলা বাড়ি, তরপুরচ-ী ইউনিয়নের আনন্দবাজার, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন ও হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীতে যেসব জেলে মাছ আহরণ করতো, সেসব জেলে তাদের মাছ ধরার নৌকা ধুয়ে-মুছে ডাঙ্গায় তুলে ফেলেছে। তাছাড়া জালগুলোকে মেরামতের জন্যে নদীর পাড়ের সমতল ভূমিতে বিছিয়ে রাখা হয়েছে। নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খালে জেলেদের নৌকাগুলো এনে জড়ো করে রাখা হয়েছে। তাছাড়া নদী সংলগ্ন ইউনিয়নগুলোতে জেলেরা যাতে নদীতে না নামে এবং জাটকা আহরণ না করে এজন্যে সরকারের বরাদ্দকৃত জেলেদের পুনর্বাসনের চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। জেলেরা জাটকা রক্ষায় এ দু’মাসের জন্যে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। প্রতিটি জেলে পরিবারকে সরকার জাটকা রক্ষায় মাসে ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছে। এ সুবিধা ভোগ করে এ বছর দেখা যায়, জাটকা রক্ষার শুরুর দিন থেকেই সচেতন জেলেরা তাদের মাছ ধরার নৌকা ও জাল নিজ হেফাজতে নিয়ে এসেছে।
    চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, এবারের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘কোনো জাল ফেলব না, জাটকা মাছ ধরব না’। তিনি আরো জানান, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যে ইতোমধ্যে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সম্মিলিতভাবে নদীতে অভিযান পরিচালনা করবে। নিষেধাজ্ঞা সময়ে দিনে ও রাতে ৪টি করে টীম নদীতে থাকবে। এ ছাড়া নদীর পাড়ে ১৫টি স্পটে অস্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। কোনোভাবেই মাছ ধরা চলবে না।


 

 

সর্বাধিক পঠিত