• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে জেলা টাস্কফোর্সের প্রস্তুতি সভা

জাটকা রক্ষায় বড়স্টেশনে থাকবে পুলিশ ক্যাম্প ॥ প্রয়োজনে মোতায়েন হবে র‌্যাব ও বিডিআর

প্রকাশ:  ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান বলেছেন, চাঁদপুরের ইলিশ পৃথিবী জুড়ে ব্র্যান্ডিং হয়েছে। জাটকা ইলিশ রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্স এবার আরো কঠোর ভূমিকা পালন করবে। জাটকা রক্ষা করতে পারলেই মা ইলিশ রক্ষা পাবে। কোনোভাবেই মার্চ-এপ্রিল ২ মাস নদীতে কোনো প্রকারের জাল ফেলতে দেয়া হবে না।  এ বছর বড় স্টেশন মোলহেডে জাটকা রক্ষার লক্ষ্যে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এই স্থান থেকে নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। প্রয়োজনে জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিডিআর মোতায়েন করা হবে। গতকাল ২৭ মার্চ সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা টাক্সফোর্সের প্রস্তুতি সভায় সভাপ্রধানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
    তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরে মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের তালিকা আমাদেরকে দিতে হবে। তবেই বোঝা যাবে কারা নদীতে জাটকা নিধন করতে যায়। মৎস্যজীবী সমিতির ৫১ জনের ডাটাবেজ আমরা সংগ্রহ করব। প্রধানমন্ত্রীর সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেও জেলেদের চরিত্র পাল্টে যাচ্ছে। সরকারি সুবিধা গ্রহণ করেও জাটকা মৌসুমে তারা নদীতে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে জাটকা নিধন করছে। জাটকা রক্ষায় জেলে প্রতিনিধিরা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের চেয়ারম্যানগণ ভলেন্টিয়ার গ্রুপ তৈরি করবেন। তবেই জাটকা নিধন বন্ধ হবে। রাজরাজেশ^র ইউনিয়নের যে এলাকায় জাটকা বিক্রি করা হয় সেখানে সেট তৈরি করা হবে। তার জন্যে চেয়ারম্যানগণ সহযোগিতা করবেন। ওই সেটে বসে আমরা নদীতে কারা মাছ ধরে তা দেখতে পারব।
    অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের পরিচালনায় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, আমরা যতই সক্রিয় হই না কেন চোর কিন্তু চুরি করবেই। সেজন্য আমাদেরকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। শরীয়তপুর ক্যানেলে পুলিশি তদারকি বৃদ্ধি করতে হবে। কেননা এই ক্যানেলটিতে অসাধু জেলেরা অবাধে জাটকা নিধন করে। তাছাড়া পুরাণবাজার রণাগোয়াল এলাকায় বেশি বেশি অভিযান চালানো প্রয়োজন। লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের নদীর পাড় এলাকায় কয়েকটি স্থানে জাটকা বিক্রি হয়। সেখানেও প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।
    নৌকা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, অভয়াশ্রমে নদীতে জেলে নৌকা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে জেলা টাস্কফোর্স যে শাস্তি প্রদান করতে আমরা তা মেনে নেব। এক শ্রেণির অসাধু জেলে জাটকা মৌসুমে ছোট নৌকায় ৩২ ঘোড়া মেশিন লাগিয়ে নদীতে কারেন্ট জালের মাধ্যমে জাটকা নিধন করে। এ ধরনের নৌকা নদীতে পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নৌকা মালিক সমিতি প্রশাসনকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবে।
    সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম, নৌ-পুলিশ সুপার মোঃ জমশের আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল্লাহ বাকি, কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী, মৎস্যজীবী নেতা মানিক দেওয়ান, মালেক দেওয়ান, নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি শাহআলম মল্লিক, মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর উপাধি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহিদ উল্লাহ, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার আব্দুল মালেক প্রমুখ।