• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

গভীর শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো চাঁদপুরবাসী

প্রকাশ:  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৮:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার মধ্য দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো চাঁদপুরবাসী। একুশের প্রথম প্রহরে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাঙালি জাতির এই বীর সেনানীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে চাঁদপুরের সর্বস্তরের মানুষ।
    ২০ ফেব্রুয়ারি রাত এগারোটা থেকেই শহীদ মিনারের দিকে দলে দলে মানুষ আসতে থাকে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা, বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ-শিশুর পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ও সম্মুখস্থ সড়ক।  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ব্যানারে এবং ব্যক্তিগতভাবে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে অপেক্ষা করতে থাকে শত শত মানুষ। একুশের প্রথম প্রহরে বারোটা এক মিনিটে শহীদ বেদীতে প্রথমে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ প্রায় শত প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রাত বারোটা এক মিনিট থেকে শুরু করে রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পুষ্পস্তবক অর্পণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী, সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন ও শাহ মোঃ মাকসুদুল আলম। এ সময় ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ মিনার পাদদেশ। সহযোগিতায় ছিলেন জেলা স্কাউটের সদস্যবৃন্দ। অন্যদিকে চাঁদপুরের প্রতিটি উপজেলায় একইভাবে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
    সকালে চাঁদপুরের সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদদের স্মরণে ফুল হাতে খালি পায়ে প্রভাতফেরিতে বের হয়। এ সময় মাইকে বেজে ওঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’। তারা চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছাড়াও নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। অন্যদিকে একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে চাঁদপুরের প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনকে উপজীব্য করে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক শিল্পীবৃন্দ। এভাবেই গানে, কবিতায়, নৃত্যে, আলোচনা সভা, দোয়া অনুষ্ঠান ও শহীদ মিনারে গভীর শ্রদ্ধায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করলো চাঁদপুরবাসী।

সর্বাধিক পঠিত