• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় মানুষের ঢল

প্রকাশ:  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৮:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিলো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এদিন চাঁদপুর শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ ছুটে এসেছিলো চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় ডাকাতিয়া ও মেঘনাপাড়ে।
    রোমের সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক এক ধর্মযাজক চিকিৎসক এই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র প্রবর্তক। ২৬৯ খ্রিস্টাব্দে ফাঁসিতে ঝুলার পূর্বে সে তার প্রেয়সীকে চিঠি লিখেছিলো, তাতেই ভ্যালেন্টাইন শব্দ লিখা ছিলো। সেই থেকে এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র সৃষ্টি।
    প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ফুলের দোকানগুলোতে গ্যালো, ঝারবার, জিপসী, গোলাপ, রজনীগন্ধা, ভুট্টাসহ বাহারী ফুল তোলা হয়েছিলো। তবে এবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরের পুষ্প বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশানুরূপ ফুল বিক্রি হয়নি। দোকানীরা জানান, এ বছর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে গোলাপের ব্যাগ ১৫শ’ থেকে ১৭শ’ টাকায় কেনা হয়। কিন্তু কেনো আশানুরূপ ফুল বিক্রি হয়নি তা বুঝতে পারিনি।
    ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চাঁদপুর শহর সরগরম হয়ে ওঠে। চাঁদপুর জেলা সদরসহ আশপাশের উপজেলার মানুষজন ছুটে আসে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় মেঘনা মোহনায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসটিকে স্মরণীয় করে রাখতে। সববয়সী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীরা, প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী-স্ত্রী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই এ স্থানে ছুটে আসে। হাজারো মানুষের যেন মিলন মেলা বসেছিলো মেঘনা-ডাকাতিয়া মোহনায়। অনেকে তাদের মনের মানুষকে নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করে নদীতে ঘুরে সময় কাটিয়ে ভালোবাসা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখে। আবার অনেকে তাদের সন্তানদের সাথে নিয়ে এসে অস্তমিত সূর্যের লাল আভার দৃশ্য অবলোকন করে মোবাইলে ছবি ধারণ করেন। যেন বড়স্টেশন মেঘনা মোহনায় ভালোবাসা দিবসের মিলন মেলা বসে। অনেক তরুণ-তরুণী একা একাই বসে ছিলো। আবার প্রেমিক যুগল আরসিসি ব্লকের উপর বসে ঘন্টার পর ঘন্টা খোশ গল্পে মজে ছিলো। সন্ধ্যার পর দূরদূরান্ত থেকে আসা জুলিয়েটরা স্ব-স্ব গাড়ি নিয়ে মেঘনা মোহনার স্থান ত্যাগ করে বাড়ি ফিরে যায়। মোহনা ছাড়াও প্রেসক্লাব ঘাট, ডাকাতিয়া নদীর পাড়, গাছতলা ব্রিজ ও নতুনবাজার-পুরাণবাজার ব্রিজের উপর লোকসমাগম ছিলো বেশি।