পুরাণবাজারে একুশ উদযাপন পরিষদের কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

পুরাণবাজার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে মাসব্যাপী একুশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় পুরাণবাজার মার্চেন্টস একাডেমীতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অগণিত শিশু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এতে তিনটি বিভাগে শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর মুক্তিফৌজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
    ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী বলেন, ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জন্যে অনেক বড় অর্জন ও গর্বের বিষয়। মাতৃভাষার দাবিতে সেদিন আমাদের ভাষা সৈনিকেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো। তাদের মহান ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি। মাকে মা আর বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারছি। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসটি পালন করা হয়।
    তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতি সারা পৃথিবীতে বীরের জাতি হিসেবে অনেক উচ্চতায় রয়েছে। কারণ আমরাই একমাত্র ভাষা এবং স্বাধীনতার জন্যে জীবন দিয়েছি। তাই ভাষা সৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা ও গর্বের সাথে স্মরণ করতে হবে।
    তিনি নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা যারা নতুন প্রজন্ম রয়েছ, তাদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন পতাকা ও স্বার্ধীন মানচিত্র এনে দিয়েছেন। আজকে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তোমাদের একটি সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
    পুরাণবাজার একুশ উদ্যাপন পরিষদের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় ও পুরাণবাজার মার্চেন্টস একাডেমীর অধ্যক্ষ শতাব্দী আচার্যীর সভাপ্রধানে বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতা উপ-পরিষদের সমন্বয়ক ও প্রাক্তন শিক্ষিকা কল্পনা সরকার, একুশ উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজী, জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রতিযোগিতা উপ-পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ জাকির হোসেন খান শিপন, সদস্য সচিব ধ্রুব রাজ বণিক, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াকুব বিন সায়েদ লিটন। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন নাট্য নির্দেশক আক্রাম খান, আবৃত্তিশিল্পী অভিজিৎ আচার্যী, আবু বকর সিদ্দিক ও কণ্ঠশিল্পী ক্ষমা বণিক।
    উপস্থিত ছিলেন মার্চেন্টস একাডেমীর শিক্ষক কার্তিক পাল, উম্মে সালমা, মীরা পাল, মোঃ মাহাবুব গাজী, জান্নাতুল ফেরদৌসী, পুতুল রাণী, ২নং বালিকা (সি-হল)-এর শিক্ষক উত্তর প্রসাদ, ২নং বালক সপ্রাবির শিক্ষক লিজাসহ একুশ উদ্যাপন পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যগণ।