• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

মিজান চৌধুরীর আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন মানুষের হৃদয়কে এখনও নাড়া দেয় : পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ

প্রকাশ:  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, প্রথিতযশা পার্লামেন্টারিয়ান, চাঁদপুরের কৃতী সন্তান মিজানুর রহমান চৌধুরীর ত্রয়োদশ (১৩তম) মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। একইদিনে তাঁর বড় ছেলে আব্দুল্লাহ মিজানের দশম মৃত্যুবার্ষিকীও পালিত হয়। এ উপলক্ষে গতকাল ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদপুর ও ঢাকার নিজ বাড়িতে এবং বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় দোয়ার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ওচমান গণি পাটওয়ারী এবং মিজানুর রহমান চৌধুরী স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ মরহুম নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও কবর জিয়ারত করেন।   
গতকাল বাদ আছর চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার চৌধুরী বাড়ি বাইতুল হাফিজ জামে মসজিদে পরিবারের পক্ষ থেকে মিজানুর রহমান চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী সাজেদা মিজান ও জ্যেষ্ঠ পুত্র দীপু চৌধুরীর রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
দোয়া ও মোনাজাতের পূর্বে বক্তব্যে মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, মিজান চৌধুরী বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিচ্ছন্ন একটি নাম। তাঁর আদর্শ ও দর্শন মানুষের হৃদয়কে এখনও নাড়া দেয়। তিনি একজন জাতীয় নেতা ছিলেন। সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আজকে তিনি আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর আদর্শ ও রাজনীতি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজসেবা। মিজান চৌধুরী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের সেবা করে গেছেন। আমি মরহুম এই নেতা এবং তাঁর স্ত্রী ও বড় ছেলের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল হাফিজ জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা মোদাচ্ছের আলী।
উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান চৌধুরী ১৯২৮ সালের ১৯ অক্টোবর চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারস্থ পূর্ব শ্রীরামদী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মোঃ হাফিজ চৌধুরী এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ মাহমুদা বেগম। কলেজজীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬২ সালে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কারাগারে ছিলেন তখন তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনিও গ্রেফতার হন। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় তিনি সম্মিলিত বিরোধী দলের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩-এর সংসদেও তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।