• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় মানববন্ধনে এলাকাবাসীর দাবি

প্রবাসীর স্ত্রী শান্তা আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে

প্রকাশ:  ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 কচুয়ার ডুমুরিয়া গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী রুবেল হোসেনের স্ত্রী গৃহবধূ শান্তা আক্তার (২৫) আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করেছেন তার পৈত্রিক বাড়ি নলুয়া গ্রামের লোকজন। সেজন্যে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। গতকাল রোববার দুপুরে নলুয়া বাজার এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শান্তা আক্তারের চাচা মোঃ মিজানুর রহমান, ভাই হৃদয়, নলুয়া গ্রামের সুমন মিয়াজী ও দেলোয়ার হোসেন। বক্তারা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে কচুয়া উপজেলার দক্ষিণ ডুমুরিয়া গ্রামের প্রবাসী রুবেল হোসেনের স্ত্রী শান্তা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে কচুয়া থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর থেকে এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় নানান গুঞ্জন উঠে। পুলিশ শান্তার শাশুড়ি দেলোয়ারা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করে। এ সময় দেলোয়ারা বেগম তার পুত্রবধূ শান্তা আত্মাহত্যা করেছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র এলাকায় ধূ¤্রজাল সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, শান্তা আক্তার ঘটনার কিছুদিন পূর্বে তার দুঃসম্পর্কের ননদ রেহানা বেগমের স্বামী মোঃ মিরাজ হোসেন রবিনের সাথে বাড়ির পাশের সরিষা ক্ষেতে সেলফি তোলেন। সেই ছবিটি ননদের স্বামী রবিন তার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন। প্রকাশিত ছবিটি শান্তার প্রবাসী স্বামী ফেসবুকে দেখতে পেয়ে তাকে মোবাইল ফোনে শাসান। এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে মুঠোফোনে চরম ঝগড়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শান্তা আত্মহত্যা করেছে বলেও দাবি করেন তারা।
শান্তার মৃত্যু নিয়ে ধূ¤্রজাল সৃষ্টির ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) শাহজাহান কামাল জানান, আমরা ঘটনার সংবাদ পেয়ে শান্তার লাশ উদ্ধার করি। প্রাথমিক সুরৎহাল রিপোর্ট করার সময় তার শরীরে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বিধায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে চাঁদপুরের মর্গে প্রেরণ করি। রিপোর্ট আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।