• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী তোফায়েল আহম্মেদ ভূঁইয়ার মতবিনিময়

প্রকাশ:  ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ ভূঁইয়া ফরিদগঞ্জে কর্মরত সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। শনিবার রাতে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকে আজ পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত সংগঠন করে এসেছি। হয়তো কর্মের টানে এলাকা ছেড়ে ঢাকা পাড়ি জমিয়েছি, কিন্তু কখনো রাজনীতি ও এলাকার মানুষকে ভুলিনি। এতোদিন আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আমি জনপ্রতিনিধি হওয়ার আশা থাকলেও দল ও তাদের জন্যে কাজ করে গিয়েছি। কিন্তু আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সেবা করার গোপন ইচ্ছে বাস্তবায়নের জন্যে মাঠে নেমেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর একক সুদৃঢ় নেতৃত্বে যেভাবে এদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, তাতে আমরা যারা ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেছিলাম, তারাতো আর ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই মাঠে ছুটে এসেছি দলের হয়ে কাজ করার জন্যে। এক্ষেত্রে দল যদি আমাকে মূল্যায়ন করে তবে আমি জননেত্রীর মতো দৃঢ়চিত্তে ফরিদগঞ্জবাসীর উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিবো। ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেবার মাধ্যমে নাগরিকদের সেবাপ্রদান সহজ করার চেষ্টা করবো। অনিয়ম-দুর্নীতি-ঘুষ এবং দালালি বন্ধ করতে সৎ ও পরিশ্রমী নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সর্বদা কাজ করবো।
নব্বইর দশকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো এ নেতা বলেন, বর্তমানে রাজনীতি মানে হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ানো। তাই এসব থেকে দলকে মুক্ত রাখতে হলে সকলকে এক হয়ে দল ও দেশের হয়ে কাজ করতে হবে। মনোনয়ন একজনকে দেবে দল, কিন্তু যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের সকলের লক্ষ্য থাকতে হবে দলের প্রার্থীর জন্যে এক হয়ে কাজ করা। কারণ তাতেই দলের মঙ্গল। দল যদি ভালো থাকে তবে আমরা ভালো থাকবো।
উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম গাব্দেরগাঁও গ্রামের মরহুম সালামত উল্লা ভূঁইয়ার ছেলে তোফায়েল আহাম্মেদ ভূঁইয়া ১৯৮৪ সালে ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৫ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৮৬ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৫-৮৬ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৮৭-৮৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি (হিরু-নির্মল)-এর সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এছাড়া ওই সময়েই ঢাকাস্থ ফরিদগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ফরিদগঞ্জ আওয়ামী গুণীজন স্মৃতি সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকসহ উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট।
ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুন্নবী নোমানের সভাপ্রধানে ও সাধারণ সম্পাদকের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কালিরবাজার কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর পাটওয়ারী, ফরিদগঞ্জ গুণীজন স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শাহ আলম, উপজেলা যুবলীগ সদস্য জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। সাংবাদিকদের মধ্যে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

 

সর্বাধিক পঠিত