শীতের সকালে গণিত উৎসবে মেতেছে চাঁদপুরের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী
ডাচ বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো আঞ্চলিক গণিত উৎসব-২০১৯-এর বাছাই পর্ব গতকাল শনিবার চাঁদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ গণিত উৎসবে অংশ নিতে প্রচ- শীত উপেক্ষা করে সকাল ৮টার পর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় সাড়ে ৩শ’ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয় চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, উৎসবকে ঘিরে অনেক অভিভাবকও এসেছেন। তারা স্কুল মাঠে উপস্থিত হয়ে তাদের নিবন্ধন নিশ্চিত করেন। যদিও জেলার প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৭২জন নাম নিবন্ধন করে।
যথারীতি সকলের অংশগ্রহণে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীতর মাধ্যমে এ উৎসব শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো চাঁদপুর প্রতিনিধি আলম পলাশ। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে গণিত উৎসব বাছাই পর্বের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন। তিনি বলেন, বিশ^কে জয় করতে হলে সবার আগে গণিতকে জয় করতে হবে। প্রথম আলোর মাধ্যমে সারাদেশের খুদে শিক্ষার্থীরা গণিত বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গণিতকে জয় করার সুযোগ পাচ্ছে। আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখলে মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশাপাশি এ দেশ আরো আলোকিত হবে।
সকাল সোয়া ১০টায় শুরু হয় তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই পরীক্ষা। সকাল সোয়া ১১টায় এক ঘন্টার পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা ফিরে যায় যার যার বাড়িতে। দু’ শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুক্তা হোসেন জানান, চাঁদপুরে এ ধরনের আয়োজন আরো আগেই করা উচিত ছিল। তবুও অনেক পরে হলেও এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। এতে আমাদের বাচ্চারা তাদের মেধা যাচাই করার সুযোগে পেয়েছে।
মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজানা সিমন জানায়, আমাদের খুব আনন্দ লেগেছে এই গণিত উৎসবে অংশ নিয়ে । কারণ প্রশ্ন পদ্ধতি ছিল একটু ব্যতিক্রম। হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হোসেন আহমেদ নিশাত জানায়, জয়-পরাজয়ের জন্যে এই উৎসবে অংশ নেইনি, বরং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যে নিয়েছি। যাতে আগামীতে আমরা বিদেশে গণিত উৎসবে অংশগ্রহণ করে জয় ছিনিয়ে আনতে পারি।
চাঁদপুর বন্ধুসভার ২৫জন সদস্যকে নিয়ে ঢাকা থেকে আসা বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়ার্ড কেন্দ্রীয় কমিটির আহসান হাবিব ও সিজান আহমেদ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করেন। তাদের দেয়া ফলাফলে জানা যায়, নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২৪ জন আঞ্চলিক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে ২১ জন, জুনিয়র ক্যাটাগরিতে ২৮জন, সেকেন্ডারী ক্যাটারগরিতে ৬৯জন ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে ৬ জন।